• বিশেষ প্রতিবেদন

আগাম প্রস্তুতির কারণে বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেলো রাণীনগর-আত্রাই উপজেলা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১১ জুলাই, ২০২৪ ২১:৪৫:১৯

ছবিঃ সিএনআই

নওগাঁ প্রতিনিধি: একটানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নওগাঁর প্রধান দুটি নদী ছোট যমুনা ও আত্রাইসহ অন্যান্য নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোতবাজার পয়েন্ট ছাড়া সকল পয়েন্টে পানি বিপদসীমার অনেক নীচে অবস্থান করছে। বুধবার (১০জুলাই) থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

আশির দশকের নির্মিত আত্রাই নদীর পাশ দিয়ে বিদ্যমান বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দীর্ঘদিনের পুরাতন হওয়ার কারণে এবং প্রতিটি বাঁধে শিয়াল, বেজি কিংবা ইদুরের গর্ত থাকার কারণে নদীত পানি বৃদ্ধি পেলেই সেই লিকেজ দিয়ে পানি চলাচল করায় অনেক স্থানে হঠাৎ করেই ধ্বস দেখা দিয়েছে। তবে লিকেজ কিংবা ধ্বসে যাওয়া স্থানগুলো সঙ্গে সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টিমের প্রত্যক্ষ তৎপরতায় মেরামত/বন্ধ করার কারণে দুই উপজেলার শত শত গ্রাম বন্যা কবলিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ধ্বসে যাওয়া স্থানগুলো স্থানীয় সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন পরিদর্শন করেছেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দিন-রাত কাজ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া বাঁধগুলো মেরামত করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেগুলো সচল করায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আত্রাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার (৪জুলাই) রাতে আত্রাই থেকে নাটোরের সিংড়ার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কের শিকারপুর এলাকায় গুড় নদীর বাঁধ কাম পাকা সড়ক ধ্বসে যায়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন শুক্রবার ধ্বসে যাওয়া বাঁধ কাম সড়ক মেরামত করে। এরপর শুক্রবার রাতে ঐ ভাঙ্গনের প্রায় এক কিলোমিটার পূর্বদিকে বৈঠাখালির ডুবাই নামক সুইচগেট সংলগ্ন স্থানে পাকা সড়ক ধ্বসে যায়।

এতে ওই সড়কে যানবাহনসহ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এছাড়া শনিবার সকালে উপজেলা সদরের পশ্চিম এলাকায় আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের লালুয়া নামকস্থানে বাঁধ কাম পাকা সড়ক ধ্বসে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার (৯জুলাই) সকালে আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের গুড়নৈ নামক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধ্বস দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ভবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টিম মেরামতের কাজ করে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেই ধ্বসে যাওয়া অংশটি মেরামত করে যান চলাচলের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo