• বিশেষ প্রতিবেদন

মা‌নিকগ‌ঞ্জে বীমার টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে গ্রাহকরা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২৫ আগস্ট, ২০২৪ ১৮:১৪:৫৩

ছবিঃ সিএনআই

মা‌নিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মা‌নিকগ‌ঞ্জের সাটু‌রিয়া উপজেলার দিঘু‌লিয়া এলাকার রাহেলা আক্তার (৪৫) অভাব অনটনের সংসারে একটু একটু করে জমানো টাকা থেকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে একটি জীবন বীমা পলে‌ছি করেছিলেন ২০০৯ সালে। কিস্তির মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন তিনি। ১০ বছর পর বীমার মেয়াদ শেষ হলেও লভ্যাংশ তো দূরের কথা পাচ্ছেন না আসল টাকাও। শুধু রাহেলা আক্তার নন তার মত সাটুরিয়া উপজেলার হাজার হাজার সহজ সাধারণ মানুষ ওই বীমা কোম্পানীর ফাঁদে পড়ে সঞ্চয়ের অর্থ খুইয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশ নারী। 

এলাকাবাসী জানায়, ২০০৮ সালে উপজেলার দিঘুলিয়া এলাকার কফিল উদ্দিন (৪৮) অফিস ভাড়া নিয়ে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী। এরপর ১০ বছরে দুই থেকে তিনগুন লভ্যাংশ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে শুরু করে অর্থ। 

র‌বিবার (২৫ আগষ্ট) বিকেলে উপজেলার দিঘু‌লিয়া এলাকায় মানববন্ধন করেছেন প্রায় তিন শতাধিক ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহকেরা। 

মানববন্ধনে জহিরুল ইসলাম নামে এক বীমা গ্রাহক বলেন, আমার বীমার মেয়াদ শেষ হয়েছে আরো ৩ বছর আগে। অফিসে টাকার জন্য গেলে অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। আবার অফিস খোলা থাকলেও বীমা কোম্পানীর লোকজন বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। 

কল্পনা বেগম নামের আরেকজন বলেন, দুই থেকে আড়াই বছর সময় অতিক্রম করেছে। টাকা আজ দেয়, কাল দেয় বলে টাকা দিচ্ছে না। তিনি সরকারের সহযোগীতা কামনা করে বলেন, আমরা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকাগুলো ফেরত পাই। 

আরেক ভুক্তভোগী ছানোয়ার হোসেন (৪৫) বলেন, ওই সময় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বীমা কোম্পানীর মাঠকর্মী ছিল। তারাই টাকা লুটপাট করেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগীরা।

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের মাঠকর্মী কফিল উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহকদের জন্য বারবার হেড অফিসে গেলেও কোন কাজ হচ্ছে না। হেড অফিস থেকে বারবার সময় চাওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তা রহমানের সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo