• বিশেষ প্রতিবেদন

নওগাঁয় কাজ ফেলে রেখে লাপাত্তা ঠিকাদার, ভোগান্তিতে কয়েকটি গ্রামের মানুষ

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০৯:১৭

ছবিঃ সিএনআই

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তার তারাটিয়া ব্রীজ নির্মাণের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ার কারণে ভোগান্তিতে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে চলাচলের জন্য তৈরি করা কাঠের একটি নিচু ফুটওভার সেতু পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কৃষক ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। বর্তমানে
খালটি পারাপারে নৌকাই একমাত্র ভরসা পথচারীদের।

নওগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রীজ প্রকল্পের আওতায় শাহাগোলা ইউপি (ভবানীপুর)-শাহাগোলা স্টেশন বাজার রাস্তায় ২০মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে নওগাঁ এলজিইডি বিভাগ। গত বছরের নভেম্বর মাসের ০৯তারিখে ব্রীজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তৎকালীন সাংসদ আলহাজ্ব মো: আনোয়ার হোসেন (হেলাল)। আর দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করেন চলতি বছরের মে মাসে। এরপর থেকে নির্মাণ কাজের কোন অগ্রগতি ছিলো না।
বর্ষা মৌসুমে খালে পানি জমে যাওয়ার অজুহাতে নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। কাজ শুরুর আগে চলাচলের জন্য ঠিকাদার স্থানীয়দের মতামত না নিয়েই একটি নিচু কাঠের সেতু নির্মাণ করে যা খালে একটু পানি বৃদ্ধি পেতেই পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়তই পারাপারে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শ্রীরামপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন বলেন সাহাগোলা, ভবানীপুর, তারাটিয়া, শ্রীরামপুরসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা শাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তা। এই রাস্তার তারাটিয়া ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলায় থমকে পড়েছে এই অঞ্চলের জীবনযাত্রা। শুষ্ক মৌসুমে ব্রীজটি ভেঙ্গে কাজ না করেই ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বর্তমানে সরকার পরিবর্তন হওয়ার কারণে আদৌ কি পুনরায় ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে কিনা সেই ধোঁয়াশার মধ্যে আমরা গ্রামবাসীরা।

ভবানীপুর গ্রামের সুজন, আব্দুর রশিদসহ অনেকেই জানান ব্রীজ নির্মাণ কাজের এমন বেহাল দশায় পথচারীদের পাশাপাশি জরুরী পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণে আজ একটি ব্রীজের কারণে প্রত্যন্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যদি কাঠের তৈরি সেতুটিও একটু উচু করে দিতো তাহলে ভ্যানগাড়ীসহ ছোট ছোট যানবাহন সহজেই চলাচল করতে পারতো। আমরা চাই দ্রæত এমন জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হোক।

নওগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন বর্ষা মৌসুমে ওই খালে পানি জমে থাকার কারণে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবো। আর পাশে সংযোগকারী কাঠের সেতুটি বেশি উচু করলে খরচও অনেক বেশি হবে এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিরও প্রয়োজন হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo