• সমগ্র বাংলা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নির্যাতনের অভিযোগ সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৬ নভেম্বর, ২০২০ ১২:০৩:১৭

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ নোয়াখালীর মাইজদী থেকে এক কিশোরীকে (১৯) তুলে নিয়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে রাতভর মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পী (২৯) ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নারীর সাবেক স্বামীসহ তিনজন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কিশোরী।

এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাবেক স্বামীসহ ৪ জন ও সিএনজি চালকসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করে ভুক্তভোগী নিজেই মামলা করেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এখন এক আত্মীয়ের বাসায় রয়েছেন ওই নারী।

আসামিরা হলেন, ওই তরুণীর সাবেক স্বামী কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের মো. ইউসুফের ছেলে ইসমাইল হোসেন বাপ্পী, তার সহযোগী একই গ্রামের রহিম (২৪), আরমান (২৫) সদর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের সাগর (৩৫)। 

ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজ কর্মস্থল জেলা শহর মাইজদীর গ্রীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মাইজদীস্থ হরিনারায়পুরের বাসায় ফিরছিলেন শিক্ষানবিশ ওই নার্স। মাইজদী পেট্রোল পাম্পের সামনে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এসময় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা সামনে এসে দাঁড়ালে তিনি গন্তব্যে যাবার জন্য উঠে পড়েন। পরে ওই গাড়িটি একটু সামনে গেলে দুজন যাত্রী সামনের সিটে ওঠেন। আর একটু সামনে গেলে তার সাবেক স্বামী ও আরও একজন ভিকটিমের দুপাশে উঠে বসেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠার পর থেকেই তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে তার সাবেক স্বামী বাপ্পী ও তার সহযোগী রহিম (২৪)। চোখ-মুখ চেপে ধরে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে নিয়ে যায় তাকে। সিএনজি থেকে নামানোর পর বুঝতে পারে এটি তার সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পির বাড়ি। ফাঁকা বাড়িতে সাবেক শ্বশুর-শাশুড়ি কেউই নেই। সিএনজিতে মারতে মারতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। ঘরে ঢুকিয়েও বেদম মারধর করে তার সাবেক স্বামী। রাতে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় জ্বলন্ত সিগারেটের আগুনে মুখমণ্ডলে ছ্যাঁক দেয়া ও অপর দুইজনসহ ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ভোরের দিকে অভিযুক্তরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে পালিয়ে মাইজদী চাচার বাসায় এসে আশ্রয় নেন ভুক্তভোগী কিশোরী। পরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় রয়েছেন চিকিৎসাধীন। রাতে চাচার সহায়তায় মামলা দায়ের করেন থানায়।

স্বজনরা জানান, ছোট বেলায় বাবাকে হারান কিশোরী। নতুন করে বিয়ের পিড়িতে বসেন মা। অভিভাবকশূন্য হয়ে নানির কাছেই বড় হন তিনি। নবগ্রামে নানির কাছে থাকা অবস্থায় বখাটে ইসমাইল হোসেন বাপ্পির নজরে পড়েন তিনি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থাতেই বাপ্পীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এরপর ছোটখাটো বিষয়েও স্বামীর নির্যাতনের শিকার হতে হতো তাকে। মারধর করতেন শাশুড়ি, ননদ ও দেবর। গত দুমাস আগে তাদেও ডিভোর্স হয়। 

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, রাতে ভুক্তভোগীর মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo