• সমগ্র বাংলা

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে: উলিপুরে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাঃ সম্পাদক

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৩৫:১৯

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে। গত ১৬ বছর একটি ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশের মানুষের বুকে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছিল। গত ১৬ বছর স্বাধীন রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশের নাম ছিল কিন্তু মানুষের কোন স্বাধীনতা ছিল না। এই সময় বাংলাদেশে একটি পার্লামেন্ট ছিল কিন্তু কোন কার্যকারীতা ছিল না। এ দেশে নির্বাচন কমিশন ছিল কিন্তু মানুষের কোন ভোটাধিকার ছিল না।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পথসভায় কথাগুলো বলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে উপজেলা বিএনপি'র কার্যালয় চত্বরের পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। পথ সভা শেষে পৌরশহরে জনগনের মাঝে তারেক রহমান ঘোষিত বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবী সম্বলিত লিফলেট বিতরন করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আদালত ছিল কিন্তু কোন ন্যয় বিচার ছিল না।

আদালতের এজলাসে দাড়িয়ে থাকা বিচারপ্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়ের উপর রায় নির্ধারিত হত। প্রশাসন ছিল কিন্তু কোন নিরপেক্ষতা ছিল না। র‌্যাব-পুলিশ ছিল কিন্তু মানুষের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। অথচ র‌্যাব পুলিশ গঠন করা হয়েছিল দেশের মানুষকে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে দেয়ার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় র‌্যাব পুলিশের আতঙ্কে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার চাদর পুরোপুরি খসে পড়েছিল।

এই ১৬ বছর বিএনপি দাবী করে আসছিল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পাবার জন্য, র‌্যাব পুলিশকে নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান দেশে ছিলেন না কিন্তু আমাদের রক্ষার জন্য দুরন্তর পথ সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। সারাদেশে এই ১৬ বছরের বিএনপি-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে।

তবুও আমরা রাজপথ ছাড়ি নাই। গত জুলাই-আগষ্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। শেষে তিনি বলেন, তারেক রহমানের নিদের্শ দলের কোন নেতা-কর্মী বিশৃঙ্খলা অনিয়ম ও জনদুর্ভোগের কারন হয়ে দাঁড়ালে দল তাদেরকে ক্ষমা করবে না সে যত বড়ই নেতা হোক। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ফ্যাসিষ্টের দোষররা যাতে দলের আশ্রয় প্রশ্রয় না পান, এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo