• বিশেষ প্রতিবেদন

আগাম ধনেপাতা চাষে স্বাবলম্বী লালমনিরহাটের চরাঞ্চলের মানুষ

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:৫৬:১২

ছবিঃ সিএনআই

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: আগাম জাতের ধনেপাতা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ধরলা নদী বেষ্টিত চরবাসুরিয়া গ্রামের লোকজন। এ চরটির মাটি ও আবহাওয়া কৃষি উপযোগী হওয়ায় এখানে স্বল্প খরচে আগাম জাতের ধনে পাতা চাষ করেছেন ৩শতাধিক চাষী।ক্ষেত থেকেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ ধনে পাতা।

চরে গেলে দেখা যায়,লালমনিরহাটে বিভিন্ন শাকসবজির পাশাপাশি ধনেপাতা চাষকরে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চরাঞ্চলের চাষীরা।লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ধরলা নদীর চরবেষ্টিত চরবাসুরিয়া গ্রামের ৩শতাধিক চাষী আগাম জাতের ধনেপাতা চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ পড়ে ৩৫ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয় ৪০ মন ধনেপাতা।যার বর্তমান বাজার মূল্য পাইকারী হিসেবে ১শত টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৬০হাজার টাকা।

দাম ভালো পাওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আর চরে চাষাবাদকৃত এ পণ্য বিক্রয় হচ্ছে ক্ষেত থেকেই ফলে বাজারজাত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছেনা চাষীদের। ধনে পাতা চাষী আনোয়ার হোসেন,সুজন রায়,রাসেল মিয়া জানান,দাম ভালো পাওয়ার জন্য আমরা চরগুলোতে আগাম জাতের ধনে পাতা লাগিয়েছি।ক্ষেত ভালো হয়েছে।

নিয়মিত যত্ন করছি।বাজারে এর চাহিদা থাকায় দাম ভালো পাচ্ছি। চরে চাষাবাদকৃত এ ধনেপাতা ক্ষেতে কাজ করছেন ৫শতাধিক শ্রমিক।ফলে কর্মসংস্থান হয়েছে চরাঞ্চলের মানুষের।তবে কৃষি বিভাগের বীজ,সার সহ প্রণোদনার দাবী করেছেন চাষীরা। মানে ভালো আর জৈব সার দিয়ে চাষাবাদকৃত এ সবজীর চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড.মো:সাইখুল আরিফিন বলেন আগাম জাতের ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহ আর পরামর্শ দেয়া হচ্ছেেএবারে লালমনিরহাট জেলায় ১০৫০ বিঘা জমিতে ধনেপাতা চাষ হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo