• বিশেষ প্রতিবেদন

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুমিল্লার বড় মঠ 

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১৩:৩১:১১

ছবিঃ সিএনআই

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো মঠ একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে কিভাবে? তা নিয়ে বিস্মিত সাধারন মানুষ। অজানাকে জানার এক কৌতুহল মানুষের মনে, মানুষ জানতে চায় পৃথিবীর সকল কিছুকেই। তাই তো মানুষ ছুটছে অসীমের অতলে কিংবা অন্তরীক্ষে। এত কিছু জানার মাঝেও অনেক কিছু মানুষের অজানাই থেকে যায়। তেমনই এক অজানা রহস্য লুকিয়ে আছে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার বেওলাইন গ্রামে। স্বপ্নে নয় বাস্তবেই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো  একটি  স্থাপনার, যার নাম স্থানীয় মানুষের কাছে পুরনো মঠ।  প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই মঠকে দেখে আসলেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাদের সম্পর্কে পাওয়া গেল না কোনরকম তথ্য। তবে স্থানীয় বয়োঃবৃদ্ধদের সাথে কথা বলে বয়স সম্পর্কে কিছু তথ্য উঠিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। 

স্থানীয় মঠ এলাকার গৌতম আইন বলেন, আমার দাদার কাছে শোনেছি ৪০০/৫০০ বছর পুরানো এই বড় মঠ। এই মঠের অবস্থা বেহাল দশা। এটি সংস্কার না করলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে অনুরোধ জানায়, এই মঠকে রক্ষা করুন। 

অন্যদিকে সঞ্জয় দত্ত বলেন, এই মঠ কে বা কারা করছে আমরা জানি না। এটি এখন বেহাল দশা। এটি সংস্কারের প্রয়োজন। 

কে, কাহারা, কেনো, কবে, কখন, এসব নির্মাণ করেছেন তার কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। বেওলাইন গ্রামে অবস্থিত এই মঠের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায় এক নাজেহাল অবস্থা। মঠ গুলির বিভিন্ন জায়গায়  ফাঁটা  ধরে ইট গুলি খসে গেছে, যে কোন সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড়ধরনের কোন দুর্ঘটনা। স্থানীয় মানুষের দাবি যত দ্রুত সম্ভব স্থাপনাগুলোর কোন সংস্কার করা যায় কিনা সেদিকে নজর দেওয়া। 

এই বিষয়ে কুমিল্লা আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ চন্দ্র দাস বলেন, এটি সম্পর্কে আমি জানি না। আপনি আঞ্চলিক পরিচালক কিংবা গবেষণা সহকারী পরিচালকের সাথে কথা বলে জানতে পারেন। আঞ্চলিক পরিচালককে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo