• বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ

রংপুরে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:৩৪:৩০

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরোঃ রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে কনকনে ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে দুভোগ আর ভোগান্তি বাড়ছে জনজীবনে।রংপুর-১২ডিগ্রি ৮ সেলসিয়াস, পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রী. দিনাজপুরে,১৩ দশমিক ২ ডিগ্রী,সৈয়দপুর,১৪ দশমিক ০ ডিগ্রী,কুড়িগ্রামের রাজারহাট ১৪ দশমিক ৫ডিগ্রী,নীলফামারীর ডিমলায় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী,ঠাকুরগা্ও ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রী,লালমনির হাট ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী ও গাইবান্ধায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রংপুর জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।সকালে সূর্যের দেখা মেলেনি।ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কৃষি ফসল। 

উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলায় রাত থেকে সকাল পযন্ত জমাটবাঁধা কুশায়ায় আচ্ছন্ন্।ধোঁয়ার আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুশায়া পড়ছে।আর রাত ভর নগরীর ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে।তবে আবহাওয়াবিদ বলছে,আগামী তিন-চারদিন তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে।

ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে বলে আশংকা করছেন আবহাওয়া অফিস।সেই সাথে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

নগরীর সেনপাড়া এলাকার আলামিন মিয়া বলেন ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকে শীত জেকে বসেছে এ অঞ্চলে।মানুষ ছুটছে গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতে।তবে এ সয়ম বেশি বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ।

নগরীতে অটো রিকশাচালক শরিফুল ইসলাম ও মান্নান বলেন,‘ অতিরিক্ত ঠান্ডার ফলে লোকজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।তাই অটোভাড়া হচ্ছে কম।সকাল থেকে রাত পযন্ত যাত্রী পা্ওয়া যাচ্ছে অনেক কম।কিন্তু পেটের কারণে বের হতেই হয় এই ঠান্ডায়।

এদিকে কনকনে শীতে জবুথবু হলেও নিম্ন আয়ের মানুষকে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে কাজের সন্ধানে।তবে সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতের সাথে ঘন কুয়াশায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।

রংপুর আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান ,সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা রংপুরসহ উত্তরাঞ্চল।নিম্নআয়ের মানুষ দুভোগ আর ভোগান্তিতে পড়ছে।ঘনকুয়াশার ফলে সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।অনেক জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমির ফসল।শীতের প্রকোপ প্রতিদিন বেড়ে যাচ্ছে।তবে ডিসেম্বর মাসে শৈত প্রবাহের সম্ভবনা নেই বলছেন।গত বছরের চেয়ে চলতি বছর শীতের প্রকোপ অনেকটাই বাড়বে বলে জানান আবহাওয়াবিদ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo