• বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ

প্লাস্টিক দূষণরোধে করতে কক্সবাজার সৈকতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রোবট দানব

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ
  • ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৫:২২:৪৪

ছবিঃ সিএনআই

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নির্মিত হয়েছে আকাশছোঁয়া একটি ‘রোবট দানব’। আমিই দানব, তোমরাই আমাকে সৃষ্টি করেছ। যত্রতত্র প্লাস্টিক দিয়ে ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বকে গ্রাস করব। এই স্লোগানকে সামনে রেখে সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নির্মিত হয়েছে আকাশছোঁয়া একটি ‘রোবট দানব’। আছে দুটি ছোট প্লাস্টিক দানব ছানা। পরিত্যক্ত সামুদ্রিক প্লাস্টিক দিয়ে একদল স্বেচ্ছাসেবী এই রোবট দানব তৈরি করে। এই দানব প্লাস্টিক দূষণে প্রাণ-প্রকৃতির বিরূপতার সাক্ষ্য দিচ্ছে। জেলা প্রশাসন কক্সবাজার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নির্মিত সৈকতের সুগন্ধা সীগাল পয়েন্টে প্রদর্শন করা হচ্ছে ওসান প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি এ দানব ভাস্কর্যের।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় এই রোবট ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়ামিন হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি আবুল কালাম।

সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সীগাল পয়েন্টের বালিয়াড়িতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে প্লাস্টিকের তৈরি ভয়ংকর অবয়বের এক দানব রোবট। যে দানবটি রক্ত-মাংসহীন প্রতীকী হলেও যার হিংস্র থাবায় প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত মানবদেহ, প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্য। সৈকতে ঘুরতে আসা যে কেউ এটি প্রথম দর্শনে মনে ভয় বিরাজ করলেও কাছে যেতেই সে ভয় কেটে যাবে। আর জানবে দানবটির দেহে বয়ে বেড়ানো প্লাস্টিক দূষণে প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতির মাত্রা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই সমাগম ঘটে লাখো পর্যটকের। যারা সৈকতের বালিয়াড়ি ও সাগরের পানিতে ফেলছে প্লাস্টিক পণ্য সামগ্রীর বর্জ্য। এতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণ এবং হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক জীব ও মানবজীবন। আর প্রাণ-প্রকৃতির দূষণ রোধে এবং সচেতনতা সৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি দানব ভাস্কর্য প্রদর্শনীর মতো ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo