• বিশেষ প্রতিবেদন

তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:১৮:১০

ছবিঃ সিএনআই

ব্যুরো রংপুরঃ তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং বন্যা ও নদীভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে রংপুরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন  স্থানীয় ও  নদঅ পারের মানুষ।

রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে‘তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ এর উদ্যোগে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।এসময় বিভিন্ন বয়সের মানুষ উপস্থিত হয়ে এই আন্দোলনে অংশ গ্রহন করেন।

সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য রেদোয়ান ফেরদৌস, সবুজ রায়, হীরা লাল বর্মণ, ভুক্তভোগী আরমান হোসেন ঢুলু ও তারা মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ভারত সরকার একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করেছে।তারা আমাদের সঙ্গে বৃহৎ রাষ্ট্রসূলভ আচরণ করছে।সাম্রাজ্যবাদী ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। এ অবস্থা শুধু তিস্তার ক্ষেত্রেই নয় ভারত থেকে আসা ৫৪টি নদীর পানি প্রবাহ তারা একইভাবে নিয়ন্ত্রণ কিংবা অন্যায়ভাবে প্রত্যাহার করছে।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত শাসকদলগুলি যারা ক্ষমতায় ছিল-কেউ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেনি। পানি সম্পদ রক্ষার কথাও চিন্তা করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির মতো সাম্রাজ্যবাদী ভারতের শাসকদের সঙ্গে নতজানু ও অন্যায় সমঝোতা করে চলছিল দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে।

বক্তারা আরও বলেন, ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে একবার আমরা বন্যার পানিতে ডুবছি আরেকবার খড়ায় পুড়ছি।তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবন প্রকৃতি আজ ধ্বংসের মুখে। নদীতে পানি প্রবাহ দুর্বল থাকায় বালু পড়ে নদীগর্ভ বালু দিয়ে ভরাট হচ্ছে। ফলে এ বর্ষায় নদীভাঙন ও বন্যার কবলে পড়ে হাজার হাজার একর জমি নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে, ফসল, ঘরবাড়ি, জনপদ ভেসে যাচ্ছে।
ভারত কর্তৃক একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন। গোটা অঞ্চলের কৃষি-মৎস্য সম্পদ, পরিবেশ-প্রকৃতি বিপর্যস্ত।

বক্তারা বলেন,প্রতিবছর বন্যায় আমরা রিলিফ চাই না, আমরা তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন চাই। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন।
সেইসঙ্গে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনে শামিল থাকার আহ্বান জানান।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo