• বিশেষ প্রতিবেদন

কালোমেঘ চাষে কৃষকের স্বপ্ন দুলছে

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২৭ জুন, ২০২৪ ১৭:১৬:৩৯

ছবিঃ সিএনআই

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ প্রাচীনকাল থেকেই চিকিৎসাশাস্ত্রে এ উদ্ভিদটি বহুল ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি ‘দেশীয় চিরতা’ হিসেবে পরিচিত। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কালোমেঘ চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা রয়েছে। এই উদ্ভিদটি ইউনানি আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, কালোমেঘ জ্বর থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস,  অজীন, যকৃতের গোলযোগসহ অনেক জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর  বৈজ্ঞানিক নাম এন্ড্রোগ্রাফিস প্যানিকুলাটা। সাধারণত মে  মাসে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়।এ গাছের কান্ড আধামিটার থেকে এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।

এটি বিঘা প্রতি ২৫-২৬ মণ ফসল উৎপাদন হয়। প্রতি মণ ফসলের দাম ২৪০০-২৫০০ টাকা বিক্রি হয় যা অন্যান্ন ফসলের তুলনায় লাভজনক। পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবছর উপজেলায় সাড়ে ৬ হেক্টর জমিতে কালো মেঘ চাষ হয়েছে। 

কালো মেঘ চাষে মো আফরুল,সাজু, মিন্টু মিয়ার মতো  প্রান্তিক কৃষকরা বলছেন, কালোমেঘ চাষে আলাদা কোন যত্ন নেয়ার প্রয়োজন হয় না। স্বল্প আয়ে লাভজনক হওয়ার এই ভেষজ উদ্ভিদটি চাষে তাদের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।

তাছাড়া অন্য ফসলের তুলনায় এটির  বাজারমূল্য অনেক বেশি।এজন্য লাভের স্বপ্ন নিয়ে প্রথম বারের মতো এটি চাষ শুরু করেন। পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছা শর্মিলা শারমিন বলেন ,কৃষকরা সাধারণত অন্যান্ন ফসল চাষে লাভ কম হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।

সেখানে  কালো মেঘ চাষ করে লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।  তাছাড়া কালো মেঘ চাষীদের ফসলের মাঠ নিয়মিত পরিদর্শন করে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এবং বাজারজাত করতে যাতে কোন সমস্যা তৈরি না হয় সে ব্যাপারে কৃষকদের পাশে কৃষি অফিস সব সময় আছে বলে মন্তব্য করেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo