• বিশেষ প্রতিবেদন

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী গোপালপুরে শত বছরের পুরানো হাট  

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৬ জুন, ২০২৪ ১২:১০:১৮

ছবিঃ সিএনআই

গোপালপুর প্রতিনিধিঃ ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শত বছর পুরনো সাপ্তাহিক হাঁটতে কেতাব বিক্রেতা স্বাচ্ছন্দে মধ্যেই দাম কষাকষির মাধ্যমে কোরবানির পশু গরু ছাগল কয় বিক্রয় করেছে।

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ঐতিহ্যবাহী কোনাবাড়ী কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। গরু মহিষকে সুসজ্জিত সারিবদ্ধ করে রাখার জন্য হাটের মাঠটিতে বাঁশের খুঁটি বসিয়ে লম্বা লম্বা সারি করা হয়েছে। এছাড়া ছাগল ও বেড়া জন্য সুনির্দিষ্ট জায়গা দেয়া হয়েছে। উপজেলা সহ ও পার্শবর্তী উপজেলা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা গরু, মহিষ, ছাগল বেড়া নিয়ে এসেছে এ হাটে। প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক হাত হিসেবে আজ শনিবার সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। শত বছর পুরানোই হাটে বিগত ১০ বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ গরু উঠেছে  গরুর দামও মোটামুটি অনেক কম গিয়েছে, তাতে কিতা বিক্রেতা বিক্রি করে অনেক খুশি হয়েছে।

হাট ইজারাদার এর পক্ষ থেকে মো. ইকবাল হোসেন  জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার গরু ছাগল রেকর্ড পরিমান গরু ছাগল ওঠেছে এবং বিক্রিও হয়েছে। তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে বেশি গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে এবার। গোপালপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে পূর্বের মতো এবারও কোরবানির পশুর হাট বসেছে। হাটটিতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে। 

গোপালপুরহাট ইজারাদার ভলেন্টিয়ার ও কর্তৃপক্ষ সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে। আমরা হাটটিতে গরু,মহিষ, ছাগল ও বেড়া রাখার যেমন সুব্যবস্থা তৈরি করেছি, তেমনি বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত পাইকারদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। আমাদের এখানে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সুবিধার্থে আমরা সরকার নির্ধারিত হাশিল থেকে কম হাশিল নিচ্ছি। আমাদের এই হাটে  বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারদের পশু নিয়ে আসার আহবান জানাই।

এদিকে ধনবাড়ী উপজেলার নুরুল্লাহ থেকে কালা চাঁন বেপারী এ হাটে ২০ টি গরু নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, হাটের সুসজ্জিত পরিবেশ ও নিরাপত্তা দেখে আমি  অনেক সন্তুষ্ট। ইজারাদারের পক্ষ থেকে  সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। হাটের বিক্রিও জমজমাট। ক্রেতাদের আনাগোনা বেশ। অনেকে গরুর দর-দাম করছেন। গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক পাইকাররা তাদের সুবিধা মতো দাম হাকছেন। আমরা পাইকাররা এ হাটের পরিবেশ নিয়ে আনন্দিত। আশা করছি ভালোভাবেই গরু বিক্রি করতে পারবো।

উপজেলার মুজিবপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন দুটি গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি আমাদের গরুটি লালন পালন করতে যে অর্থ খরচ হয়েছে সে খরচ তুলনায় দাম অনেক কম হয়, তাই বিক্রি করতেছি না, ভালো দাম পেলে গুরু অবশ্যই বিক্রি করব।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo