• সমগ্র বাংলা

পানির নিচে কুড়িগ্রামের বালিয়ামারী বর্ডার হাট

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৪ জুলাই, ২০২৪ ১৮:০১:২০

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ উজানে ভারী বর্ষণ ও নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ঢলের পানিতে উপজেলার বালিয়ামারী বর্ডার হাটে পানি উঠে ৩ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে অনেক কাচাঁ রাস্তা, রেইন কাটে ভেঙ্গে গেছে অধিকাংশ রাস্তা ঘাট। তলিয়ে গেছে, পাট, তীল, শাকসবজি ও বীজতলা। ভোগান্তি বেড়েছে বানভাসী মানুষের। নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে ২ শতাধিক বাড়ি ঘর।

জানা গেছে, থেমে থেমে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে চর রাজিবপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাজিবপুর সদর ইউনিয়ের বালিয়ামারী, বালিয়ামারী ব্যাপারী পাড়া, পূর্ব ব্যাপারী পাড়া, জালচিড়া পাড়া, মিয়াপাড়া, বাউল পাড়া, করাতি পাড়া, মুন্সি পাড়া, টাঙ্গালিয়া পাড়া, ফাটক পাড়ার এলাকার মানুষ গত ৩ দিন যাবত পানিবন্দি জীবনযাপন করছে।

বালিয়ামারী ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিজল হক জানান, তার এলাকার অধিকাংশ মানুষ মৎস্যজীবি। কাজকর্ম না থাকায় আয় রোজগার নেই। অনেকের অনাহারে-অর্ধাহারে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। স্থানীয় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বর্ডার হাটে পানি উঠার কারণে গত সপ্তাহে ২ দিন এবং গত কালও বর্ডার হাটটি বন্ধ ছিল। ফলে আয়-রোজগার কমে গেছে।

রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মো: ইলিয়াস জানান, বন্যার্তদের মাঝে বিশুদ্ধপানি ও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া প্রয়োজন। বানভাসিদের পাশে বৃত্তবান সকলকে এগিয়ে আসা দরকার বলে দাবী করেন।

কোদাল কাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু জানান, তার এলাকার অর্ধেক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া শংকর মাধবপুর ও উত্তর কোদালকাটি গ্রামে গত ৩ দিনে প্রায় ১৩০ বাড়ীঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।  

মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াচর বালক নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা আবদুল কাদের জানান, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় তার এলাকার নয়াচরের সাথে ফকির পাড়া ও চরনেওয়াজি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বড়বের চর কীর্তনতারী, সন্যাসীকান্দি এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

চর রাজিবপুর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য ৭৮মেট্রিক টন চাল, নগদ ৭০ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্ধ পেয়েছেন। যা বন্যার্তদের মাঝে বিতরন করা হচ্ছে।

চর রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম জানান, বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সবর্দা ডিসি মহোদয় কে অবগত করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo