• সমগ্র বাংলা

সুজানগরে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৬ জুলাই, ২০২৪ ২১:৩৪:৩৩

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার সুজানগরে আওয়ামী লীগ কর্মী মোজাহার বিশ্বাস হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনকে আসামি করার প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছেন নেতাকর্মীরা। শনিবার (০৬ জুলাই) দুপুরে পাবনা-সুজানগর আঞ্চলিক সড়কের সাতবাড়িয়া শুটকার মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব নির্বাচনে জয়ী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের উপরে নানাভাবে হামলা মামলা দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। আসলে তিনি বিএনপির নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন। বক্তারা আরও বলেন, গত ২৭ জুন তার একজন সমর্থকের মৃত্যুর পরে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনের নামে মামলা করিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব।

মামলাকে মিথ্যা বানোয়াট মামলা উল্লেখ করে দ্রুত প্রত্যাহার ও প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। সেইসঙ্গে বক্তারা পুলিশ প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করেন। হত্যার পর কোন প্রকার তদন্ত না শাহীনুজ্জামান শাহীনের নামে মিথ্যা মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসন যদি এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করে প্রয়োজনে সুজানগর উপজেলাকে অচল করে দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন নেতারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সুজানগর পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সরদার আব্দুর রউফ, ইউনুস আলী বাদশা প্রমুখ। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল ওহাব বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে তোলা এসব অভিযোগ বানোয়াট ছাড়া কিছু নয়।

বরং নির্বাচনের পর থেকে শাহীনের লোকজন একের পর এক হামলা ভাঙচুর চালিয়ে আমার সমর্থকদের মারধর করছে। তার লোকজনের হামলায় আ.লীগ কর্মী মোজাহার বিশ্বাস মারা গেছে। ভুক্তভোগী পরিবার যদি তাদের মামলায় শাহীনকে আসামী করে, সেখানে আমাকে দোষারোপ করা হবে কেন।

আসলে নির্বাচনে পরাজিত হবার পর তারাই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৯ মে সুজানগর উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

এ ঘটনার জেরে গত ২১ জুন উপজেলার রানীনগর এলাকায় ওহাব ও শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আল আমিন মিয়া (৩৫) নামে শাহীন গ্রুপের একজন কর্মী নিহত হয়। এ ঘটনায় জের ধরে ওইদিন রাতেই ওহাবের সমর্থক মোজাহার বিশ্বাসকে এলোপাথারী কোপায় শাহীন গ্রুপের লোকজন। পরে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ জুন মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত মোজাহার বিশ্বাসের ছোট ভাই জামাল বিশ্বাস বাদী হয়ে গত ৩০ জুন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন কে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে অবরোধ, বিক্ষোভ, মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন শাহীনের সমর্থক নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo