• সমগ্র বাংলা

সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের সশস্ত্র ২ বিজিপি সদস্য ও ৩১ রোহিঙ্গার আশ্রয়: অতপর পুশব্যাক

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৫ জুলাই, ২০২৪ ২২:৩৬:২৪

ছবিঃ সিএনআই

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ সেন্টমাটির্নে মিয়ানমারের  দু" বিজিপি সদস্য ও ৩১ রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুকে পড়েছে। ৫ জুলাই শুক্রবার ভোরে একটি নৌকাসহ এসব মিয়ানমার নাগরিক সেন্টমার্টিনে আশ্রয় নেন। তবে তাদেরকে বিকালে পুস ব্যাক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। মিয়ানমারে জান্তাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের এই  ফাঁকে  টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আশ্রয়ের জন্য চেষ্টা করছেন রাখাইনের রোহিঙ্গারা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে ৩৩ জন মিয়ানমার নাগরিক  বোঝাই একটি ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর গোলারচরে ভিড়ে। এতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) দুই সশস্ত্র সদস্য ও ৩১ জন সাধারণ রোহিঙ্গা রয়েছেন। এরমধ্যে ১০ জন নারী, ১০ পুরুষ, শিশু ১১ জন আর ২ জন মিয়ানমার বিজিপির কর্মকর্তা। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার ভোরে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার সেন্টমার্টিনে ভিড়েছে। ট্রলারে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) দুই সশস্ত্র সদস্য ও ৩১ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।

 তিনি সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে জানান, তারা ভারী বৃষ্টির মধ্যেই ট্রলারে করে মংডু থেকে চিটওয়ে শহরে যাচ্ছিলেন। ট্রলারটি যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় ও প্রাণ বাঁচাতে দ্বীপে ভীড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, তাদেরকে বিকেলে ওপারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। তাই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি"র সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি ও দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আবারও তুমুল লড়াই শুরু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। টানা পাঁচদিন পরিস্থিতি শান্ থাকার পর বুধবার রাত থেকে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। হয়তো নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিজিপির দুই সদস্যসহ মিয়ানমারের নাগরিকেরা পালিয়ে যাচ্ছিলেন।

ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হলে ঝড়ের কবলে পড়ে ভাসতে ভাসতে সেন্টমার্টিনের সৈকতে চলে আসে। তখন সাগর উত্তাল ছিল। তাই তাঁদের পুশব্যাক না করা পর্যন্ত বিজিবি ও কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল। তবে বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ( বিজিপি) এর একটি টিম সেন্টমার্টিনে সীমান্তে পৌছালে দুটি কাঠের বোটের মাধ্যমে দু' বিজিপি সদস্য ও দুটি অস্ত্র ও ৩১ জন মিয়ানমার রোহিঙ্গা নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়েছে। "টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আদনান চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের বিজিপি সেন্টমার্টিনে আশ্রয় নিয়েছে।

শুনেছি, তারা ভারী বৃষ্টিতে নৌকার ইঞ্জিন খারাপ হয়ে এদিকে ঢুকে পড়েছে। এবং বিকেলে আবার স্বদেশে ফিরেও গেছে।  স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ড এখনো কিছু জানায়নি। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo