• বিশেষ প্রতিবেদন

বাঘের বাচ্চা ভেবে মেছো বিড়ালকে খাঁচাবন্দী

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২৫ জুন, ২০২৪ ১৯:৫৬:২৫

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নে একটি মেছো বিড়াল আটক করে খাঁচায় বন্দী করা হয়েছে। বিড়ালটিকে চিতা বাঘের বাচ্চা ভেবে তা খাঁচায় বন্দী করে রেখেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। আটকের ৬ দিন পর গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে বিড়ালটি উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। এর আগে রোববার (১৬ জুন) রাতে ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারে বিড়ালটি আটক করেন রাসেল মিয়া নামের স্থানীয় এক কাপড় ব্যবসায়ী। 

রাসেল মিয়ার বাড়ি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের চাকতাবাড়ী গ্রামে। ৬ দিন ধরে তাঁর বাড়িতেই বর্তমানে বিড়ালটি খাঁচাবন্দী রয়েছে। তিনি বিড়ালটিকে নিয়মিত খাবার খাওয়াচ্ছেন। শনিবার সন্ধ্যার আগে মেছো বিড়ালটি উদ্ধার করে রৌমারীর তুরা রোড এলাকার সীমান্ত সংলগ্ন স্থানে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বন কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন। 

কোরবানি ঈদের আগের রাতে হঠাৎ কর্তিমারী বাজারের আরএস গার্মেন্টস নামের একটি কাপড়ের দোকানে প্রবেশ করে মেছো বিড়ালটি। বাঘের বাচ্চা ভেবে সেটিকে বস্তাবন্দী করে বাড়িতে নিয়ে যান দোকান মালিক রাসেল মিয়া। বাড়িতে থাকা পাখির খাঁচায় বিড়ালটি বন্দী রেখে নিয়মিত খাবার দেন। 

রাসেল মিয়া বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে দোকানের কাপড়ের র‍্যাকে বাঘটি (মেছো বিড়াল) ঢুকে পড়ে। আমরা কয়েকজন বাঘের বাচ্চা ভেবে সেটি ধরে বস্তায় করে বাড়ি নিয়ে আসি। তখন থেকে বাড়িতেই আছে। নিয়মিত খাবার খাওয়াচ্ছি। অনেকে দেখতে আসে। খাঁচার কাছে গেলে বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে।’ রাসেল আরও বলেন, ‘পাশেই সীমান্ত। সম্ভবত ভারত থেকে ঢলের পানির সঙ্গে এসে থাকতে পারে।’ 

মেছো বিড়াল আটকের খবরে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা আজকের পত্রিকাকে জানান, মেছো বিড়াল উপকারী প্রাণী। অনেক এলাকায় এটিকে মেছো বাঘ ডাকার কারণে নামের জন্য শুধু শুধু আতঙ্ক ছড়ায়। প্রাণীটি মানুষকে আক্রমণ করে না, বরং মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। তাই এটি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই প্রাণীটির বিচরণ রয়েছে। 

উপজেলা বন কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘মেছো বিড়াল আটকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সেটি উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার আগে বিড়ালটি সীমান্ত এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হবে।’

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo