• বিশেষ প্রতিবেদন

কুড়িগ্রামে উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২০ জুন, ২০২৪ ১৩:২৪:১৪

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের ১৫টি নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর জের ধরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিচু বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্ককরণ কেন্দ্র। এর মধ্যে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বেড়ে নদ-নদী তীরবর্তী চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটছে তীরবর্তী মানুষের।

হাসপাতালে স্যালাইন-ওষুধ মজুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা হতে বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় দুধকুমারের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। একই সময়ে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বেড়েছে ৩৮ সেন্টিমিটার পানি। এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার ও ধরলার সেতু পয়েন্টে ওই সময়ের মধ্যে ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশ কিছু সবজি ক্ষেত ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। নদী পাড়ের মানুষরা বলছেন, যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে অল্প সময়ের ভেতর ঘরে পানি ঢুকতে পারে। এতে ভোগান্তিতে পড়বে মানুষ। তিস্তায় বাড়ছে পানি, নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত পানির গতি বাড়ায় ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। জেলার রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ভাঙছে তিস্তা। এদিকে দুধকুমার ভাঙছে চরভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ, বামনডাঙ্গা, বল্লভেরখাসসহ একাধিক ইউনিয়নে। রৌমারী উপজেলার হবিগঞ্জ বাজার, সোনাপুর, ফলুয়ারচর ঘাট, রাজীবপুরের কোদালকাটিতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে সোনাপুরে ভাঙনরোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় স্বল্প মেয়াদি বন্যা সৃষ্ট হতে পারে। ভাঙনপ্রবণ সাতটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভাঙনরোধে একটিতে জরুরি কাজ চলছে। ভাঙনপ্রবণ অন্য এলাকাগুলোতে কাজ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ত্রাণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo