• বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ

নামে ফেরীঘাট হলেও যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ব্রক্ষপুত্র নদ পারি দিতে হয় নৌকায় 

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ
  • ২৬ জুন, ২০২৪ ১৬:২৭:২৩

ছবিঃ সিএনআই

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ উত্তরাঞ্চলের মানুষের নৌ-পথে যোগাযোগের স্বপ্নের বালাশী-বাহাদুরাবাদ ফেরীঘাট। উদ্ধোধনের ২ বছর পেড়িয়ে গেলেও নাব্যতার দোহাই দিয়ে আলোর মুখ দেখছে না এ ফেরীঘাটটি। খাতা কলমে  বিআইডব্লিউটিএ ফেড়ি ঘাটটি  ইজারা দিলেও সেখানে নিয়মিত চলছে না কোন ফেরী বা লঞ্চ। জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন উত্তাল ব্রক্ষপুত্র পাড়ি দিতে হচ্ছে দু-পাড়ের শত শত যাত্রীদের। তিল ধরনের ঠাই না থাকা নৌকাগুলোতে নেই কোন নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি। সেই সাথে যাওয়া আসায় গুনতে হচ্ছে কয়েকগুন ভাড়া।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন বেশী যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে প্রত্যকটি নৌকা। জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন উত্তাল ব্রক্ষপুত্র পাড়ি দিচ্ছে বালাশী-বাহাদুরাবাদ ঘাটের দু-পাড়ের শত শত যাত্রী।

প্রায় দেড় ‘শ কোটি টাকা ব্যায়ে নৌ, বাসসহ সকল সুবিধাযুক্ত আধুনিক ফেড়িঘাট ও বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা ড্রেজিং এ ব্যায় হলেও এ পথের যাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে সেই নৌকায়। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এ পথে লঞ্চ চলাচলের উদ্ধোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। উদ্ধোধনের পর কিছুদিন  নিয়মিত ছোট ৪টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করার পর দীর্ঘদিন থেকে অনিয়মিত লঞ্চ চলাচল।  

স্থানীয় ও যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চ চলাচলে খরচ কম হওয়ায় আশা জেগেছিল এ পথের যাত্রীদের। কিন্তু লঞ্চ চলাচল অনিয়মিত হওয়ায় খরচ হচ্ছে কয়েকগুন বেশী। নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকলেও অদৃশ্য কারনে অনেকটাই  বন্ধ লঞ্চ চলাচল। যাওয়া আসায় সময় কম লাগায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন উত্তাল ব্রক্ষপুত্র পাড়ি দিতে হচ্ছে দু-পাড়ের কয়েক জেলার যাত্রীদের। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন বেশী যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে প্রত্যকটি নৌকা।

রাজধানী ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে আসা যাত্রী আমিনুল ইসলাম জানান, বাস কিংবা ট্রেনে সড়ক পথে যাওয়ার অর্ধেক সময়ে এ পথে ঢাকায় যাওয়া যায় যে কারনে আমরা এ পথে যাওয়া আসা করি। কিন্তু এতো যাত্রী নিয়ে নৌকায় উঠতে ভয় লাগছে চাকরী বাচাঁতে বাধ্য হয়ে যাচ্ছি।

একই পথের যাত্রী শরিফুল ইসলাম জানান, লঞ্চের ভাড়ার চেয়ে নৌকার ভাড়া দিগুন। একজন মানুষ পারাপারে দিতে হয় ৩শ টাকা সাথে মোটর সাইকেল ৩শ টাকা আবার উঠা ও নামানোর জন্য লেবার ১শ টাকা করে মোট ৫শ টাকা যা অন্য ঘাটের চেয়ে অনেক বেশী। মনগড়া ভাড়া আদায় হলেও দেখার কেউ নেই।

সাধারণ মানুষের অভিযোগের বিষয়ে জান চাইলে বিআইডব্লিউটিএ এর কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।, আর নিরাপত্তা,সরঞ্জামাদি, অতিরিক্ত যাত্রী ও ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্টরা।

বালাশীঘাটের চলতি দায়িক্তে থাকা নৌ-পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মো: মোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌকা চলতে দেয়া হচ্ছে না। বেশী যাত্রী দেখলে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo