• লিড নিউজ
  • সমগ্র বাংলা

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে: রংপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত,ভাঙনে ঝুঁকিতে বাঁধ ও সড়ক যোগাযোগ

  • Lead News
  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরোটানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, শাকসবজির ক্ষেত, রোপা আমন ও বীজতলা তলিয়ে গেছে। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ সেন্টিমিটার।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী, গজঘন্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন, কাউনিয়ার বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়ন, এবং পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের তীরবর্তী চর ও দ্বীপচরের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক পরিবার উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

নদীর পানি বৃদ্ধিতে গবাদিপশুর চারণভূমি ডুবে গেছে, ফলে পশুখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। হাজারো মানুষ এখন খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, গঙ্গাচড়া মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সড়ক সেতুর পশ্চিম তীরে সেতুর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৭০ মিটার এলাকা ধসে গিয়ে ৭০ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রবল স্রোতের আঘাতে বাঁধের আরও অংশ ঝুঁকিতে পড়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে লালমনিরহাট–রংপুর সড়কসহ পাশের গ্রামের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে, এবং কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ব।

মহিপুর এলাকার বাসিন্দা আরমান হোসেন বলেন,
এর আগের দুই বারের বন্যায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। এবার নদীতে পানি আসা মাত্রই ৭০ মিটার জায়গা ধসে গিয়ে বিশাল গর্ত হয়েছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। সবকিছু বিলীন হওয়ার পর তারা পরিদর্শনে আসবে, তখন আর করার কিছুই থাকবে না।"

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন,
"আগের বন্যায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। এবারও প্রবল স্রোত বাঁধে আঘাত হানছে। উজানে আরও বৃষ্টি হলে বাঁধ ভেঙে সরাসরি লালমনিরহাট–রংপুর সড়কে আঘাত করবে। এতে তিনটি গ্রামের অন্তত দেড় হাজার পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।"

গঙ্গাচড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন,
"বন্যায় তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।আজকে সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

মন্তব্য (০)





image

বগুড়ায় অনলাইন জুয়ার পাওনা টাকার জেরে প্রাণ গেলো হাসপাতাল ...

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় অনলাইন জুয়ার পাওনা টাকা দেওয়ার...

image

শ্রীপুরে ব্রীজ থেকে ঝাপ দেওয়ার ২৭ ঘন্টা পর কলেজ ছাত্রীর ...

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্র...

image

রাণীনগরে আরপিএ’র কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা প্রদান

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর প্রসপ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন (আ...

image

ফরিদপুরের কানাইপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহ...

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর জেলার কানাই...

image

মুক্তাগাছায় শিক্ষার্থী কৃষক উদ্ভাবনী প্রকল্প সম্প্রসারণ স...

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের ...

  • company_logo