• শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চায় পবিপ্রবির গ্রাজুয়েটবৃন্দ

  • শিক্ষা
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:২৮:২৬

ফাইল ছবি

পবিপ্রবি প্রতিনিধি: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। যাতে বিগত দিনে ঘটে যাওয়া নানা অনিয়ম দুর্নীতি দূর করে আগমী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। 

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, আমরা এমন একজন উপাচার্য চাই, যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি বুঝবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করবেন। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণ করবেন এবং সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে সচেষ্ট থাকবেন। 

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশ-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রমের যোগসূত্র স্থাপনে যিনি ভূমিকা রাখতে পারবেন। একই সঙ্গে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে এমন একজন শিক্ষককে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়ার আহবান জানান গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা। 

বিৃবতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গ্রাজুয়েটরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং যোগ্য শিক্ষকের ভেতর থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় রাষ্ট্রের ভিন্ন কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে কেউ এগিয়ে আসবে না। শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে নিতে সবার সর্বাত্রক সহযোগিতা অব্যহত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। 

আরও বলা হয়, ২০০০ সালের ৮ জুলাই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে মাত্র ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেও ২০০২ সালের ২৬ ফেব্রয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববদ্যিালয়টি আমাদের আবেগ, অনুভূতি, স্পন্দন এবং যোগ্যতার মাপকাঠি। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে আমাদের সীমাহীন ত্যাগ। হয়েছি অর্বনীয় জুলুমের শিকার। জেল খাটতে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীকে। হারাতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের জীবনের মহামূল্যবান দুটি বছর। শত প্রতিকুলতা পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখন নিজস্ব আলোয় আলোকিত। দক্ষ, অভিজ্ঞ, মেধা সম্পন্ন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গড়া প্রতিষ্ঠানটি অনেক পুরাতন গবেষণা কেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়। 

সাবেক শিক্ষার্থদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে গত জুলাই অভ্যুত্থানে সহস্রাধিক শহীদ তাদের জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশকে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা-গবেষণার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যাশা করে। আর এ প্রত্যাশা পূরণের জন্য সর্বাধিক জরুরি একজন আভ্যন্তরীণ যোগ্য উপাচার্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি কিংবা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হতে পারেন। অতীতেও বহিঃস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে যারাই চার বছরের জন্য উপাচার্য হয়ে এসেছেন তারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পদের ক্ষমতা ভোগ করে আবার তাদের কর্মস্থলে চলে গেছেন। পরবর্তীতে কোনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ খবর ও নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ তাদের কাছে কখনোই গুরুত্ব পায়নি বলে আমরা এখনও নিয়োগ বাণিজ্য, প্রশ্ন ফাঁস, স্বেচ্ছাচারিতা, পরিবারতন্ত্র সহ অনেক বদনাম ও দূর্নীতির বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি সঠিক পথে নিয়ে যেথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষাথী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে একত্বতা প্রকাশ করছেন প্রাক্তন শিক্ষাথীরা।  

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo