মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মো. সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৪, সিপিসি ৩ ও র্যাব ৮ এর একটি যৌথ টিম।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল মহানগরীর বিমানবন্দর থানাধীন সাতমাইল বাজার এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ঢাকার জেলার আশুলিয়া থানার আউকপাড়া গ্রামের মো. হানিফ আলীর ছেলে মো. সোহেল রানা (৩৫)।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাব ৪ সিপিসি ৩ মানিকগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার লে কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ৪, সিপিসি ৩ ও র্যাব ৮ সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার চাঞ্চল্যকর ও বহূল আলোচিত মো: তানিম হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক আসামী মো: সোহেল রানাকে অদ্য মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল মহানগরীর বিমানবন্দর থানাধীন সাতমাইল বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায়, মামলার ভিকটিম মো. তানিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল আসামি সোহেলের সঙ্গে।
২০১৭ সালের ২২ জুলাই সকালে আসামি সোহেল রানা ভিকটিমকে ঢাকা মহানগরীর কাফরুল থানাধীন পলাশনগর এলাকায় দেখা করে পাওনা টাকা নিতে বলে।
ভিকটিম আসামির কথায় বিশ্বাস করে উল্লেখিত স্থানে দেখা করে আসামির কাছে পাওনা টাকা চাইলে আসামি সোহেল রানাসহ ফরহাদ, আশিক ও নজরুল ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি হায়েচে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের মায়ের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে ভিকটিমের মা আসামিদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মুক্তিপণ না দেওয়ায় উপরোক্ত আসামিরা ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন খাগান গ্রামের জঙ্গলে ভিকটিমকে মেরে ফেলে রেখে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালতের বিচারক ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর সোহেলের মৃত্যুদণ্ড রায় প্রদান করেন।
র্যাব ৪ সিপিসি ৩ মানিকগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার লে কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত সোহেল হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামী। সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৬ আগস্ট কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলায়ন করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে আত্মোগোপন করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিমানবন্দর , বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য ( ০)