• সমগ্র বাংলা

মেলান্দহে প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেও কোনো কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির একটি প্রকল্পে নামমাত্র কাজ করেই প্রকল্পের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে দক্ষিণ ঘোষেরপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার উন্নয়নে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটির বরাদ্দ ধরা হয় দুই লাখ ২৩ হাজার ৩০০ টাকা। তবে প্রকল্প নেওয়ার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো কাজ হয়নি। একই সঙ্গে ইউনিয়নে আরও তিনটি উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বিল্লালের বাড়ি থেকে তফুর গোরস্থান পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার পরিবর্তে এক্সকাভেটর দিয়ে নামমাত্র কিছু মাটি রাস্তায় ফেলা হয়েছে।

মাদ্রাসার শিক্ষকেরা জানান, মাদ্রাসার একটি টিনশেড ঘরের চালা ভেঙে পড়েছে। সেই টিনশেড ঘরের চালা মেরামতের জন্য বলা হলে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা থেকে একটি প্রকল্প নেন। তবে সেই প্রকল্পের কোনো কাজ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি।

মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সেলিম উদ্দিন বলেন, “কিছুদিন আগে প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম এসেছিলেন। তিনি বললেন, আপনাদের মাদ্রাসার জন্য একটি বরাদ্দ পেয়েছি, টিনের চাল মেরামত করে দেব। আমি বলেছিলাম, চাল যেভাবে আছে তাতে কাজ না করলেও চলবে, আপনি বরং মাদ্রাসার বিল্ডিং ঘরের জানালার গ্রিল বানিয়ে দিন। এরপর তিনি জানালার গ্রিলের মাপ নিয়ে যান, কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি। কয়েকদিন আগে তাঁর সঙ্গে দেখা হলে বললেন, সামনের বাজেট এলে কাজ করে দেব।”

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবছরেই ওই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কাজ শুরু করিনি, সামনে কাজ করব। টিআর প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলমগীর হোসেন বলেন,' খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo