• লাইফস্টাইল

অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করলে যে ক্ষতি হয়

  • লাইফস্টাইল

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক : আপনার শরীরে ভিটামিন ‘ডি’-র অত্যধিক ঘাটতি দেখা দিলে, আপনি ভরসা করতে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের ওপর। আর সুস্থ থাকতে ভিটামিন ‘ডি’ অবশ্যই জরুরি। আবার শরীরে ভিটামিন ‘ডি’-র পরিমাণ বেশি হয়ে গেলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। সে জন্য চিকিৎসকের ভাষায় একে বলা হয়— হাইপারভিটামিনোসিস ডি। আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন।

আপনার শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ‘ডি’ অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে আপনার শরীরে হাড় মজবুত করে থাকে ভিটামিন ডি। আর ভিটামিন ডি মূলত শরীরের স্নেহপদার্থ দ্রবীভূত করার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান, যা সূর্যালোকের প্রভাবে শরীরের কোষ তৈরি হয়। 

কিন্তু ভিটামিন ডি অন্যান্য ভিটামিনের চেয়ে কিছুটা আলাদা। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে ত্বক থেকে এক ধরনের স্টেরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার .যদি রোদে দাঁড়ানো যায়, আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকবে না। সূর্যের আলো ছাড়াও দুগ্ধজাত খাবার কিংবা ডিমের মতো কিছু খাবার থেকেও ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। 

আর আপনার শরীরে কোনো উপাদানের ঘাটতি তৈরি হলে যেমন কিছু লক্ষণ শরীরে ফুটে ওঠে, ঠিক তেমনই কোনো উপাদান যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়ে যায়, তাহলেও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। আর তখন সাবধান হওয়া খুবই জরুরি। প্রয়োজনের তুলনায় ভিটামিন ডি শরীরে বেশি হয়ে গেছে কিনা, তা কীভাবে বুঝবেন?

শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে গেলে তার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালশিয়ামের মাত্রাও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম ধমনীর ক্ষতি করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, কিডনিরও ক্ষতি হয়। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, ভিটামিন ডি-র মাত্রা বেশি হলে শরীরে যে ক্ষতি হতে পারে— 

১. ভিটামিন ডি-র পরিমাণ আপনার শরীরে বেড়ে গেলে খুদা কমে যায়। এবং খাবারের প্রতি অনীহা দেখা দেয়। আর খুব বেশি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার অভ্যাসেই এমন হতে পারে। তাই আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা কতটা, তা জেনে নিয়ে সাপ্লিমেন্ট খাওয়া ভালো।

২. ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত থাকলে ক্যালশিয়ামের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। আর ক্যালশিয়াম হাড় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র অতিরিক্ত ব্যবহার রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা চিকিৎসকের পরিভাষায় বলা হয়— হাইপারক্যালশেমিয়া। আর ৮.৫-১০.৮ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম শরীরে থাকলেই যথেষ্ট। স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই যেমন— বমি, বমি বমি ভাব, পেটব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং সবসময় শরীরে দুর্বলতা লেগে থাকা।

৩. ভিটামিন ডি সবসময় হাড়ের যত্ন নেয়। আবার ভিটামিন ডি-র মাত্রা যদি শরীরে বেশি হয়ে যায়, তাহলে উল্টোটাও ঘটতে পারে। হাইপারক্যালশেমিয়ার কারণে হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হাড়ে যন্ত্রণা ও পেশির নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

মন্তব্য (০)





  • company_logo