ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : শীতে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় ভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত ঘটতে থাকে। তাই শিশু ও বয়স্কদের সাবধানে রাখা উচিত। যাদের হার্টের রোগ, লিভার কিংবা কিডনি আর ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে, তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ জ্বর ও পেটের সমস্যা ঘন ঘন হতে থাকলে, ঘটতে পারে বড় কোনো বিপদ। সে জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, শীতকালে শিশুর পেটের অসুখ ও জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। এমনকি ডায়েরিয়ার প্রকোপ ঘরে ঘরে বেড়ে যায়। তাই শীতের এ সময়টাতে সংক্রমণের হার অনেক বেশি থাকে। বাইরের খাবার না খেয়েও পেটের অসুখ হয়, খাদ্যনালির সংক্রমণেও ভোগেন অনেকে।
এর মূল কারণ হচ্ছে— আবহাওয়া বদলের সময়ে নানা ধরনের ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ বাড়ে। ঠান্ডা পড়লে সর্দিজ্বরের ভাইরাস ছাড়াও আরও এক ধরনের ভাইরাসের উৎপাত থাকে। এর নাম নোরোভাইরাস।
আইসিএমআর জানিয়েছে, নোরোভাইরাসের কিছু প্রজাতির মিউটেশন হয়েছে। ফলে ভাইরাস আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠেছে। শরীরে নোরোভাইরাসের সংক্রমণ হলে মূলত গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিন্যাল সমস্যায় ভুগতে হয়। অর্থাৎ এর প্রভাবে অন্ত্রে প্রদাহ হয়। ঘন ঘন বমি ও ডায়েরিয়ার সমস্যা শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে শিশুদের নোরোভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে। অনেক সময়ে দেখা যায়, ভাইরাসের সংক্রমণে পেটে বিষক্রিয়া হয়েছে। এই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। খাবার ও পানি থেকে সংক্রমণ ঘটতে পারে।
নোরোভাইরাসকে অনেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। আসলে তা নয়। খাদ্যনালিতে অনেক ভালো ব্যাক্টেরিয়াও থাকে, যারা খাবার পরিপাকে সাহায্য করে। কিন্তু বাইরে থেকে কোনো সংক্রামক ভাইরাস সেখানে ঢুকে পড়লে তীব্র প্রদাহ শুরু হয়। এতে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। আর পেট খারাপ ও বমি থেকেই চলে আসে জ্বর।
সাধারণত নোরোভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে শীতের সময়ে, বিশেষ করে নভেম্বর থেকে এপ্রিল অবধি এ ভাইরাসের প্রকোপ থাকে বেশি। এ সময়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হয়। আর সে কারণে কিনে আনা সবজি, ফল কিংবা কাঁচা মাছ-মাংস ভালো করে ধুয়ে তবেই রান্না করে খাওয়া উচিত। শাকপাতা লবণ দেওয়া গরমপানি দিয়ে ধুয়ে রান্না করা উচিত। আর রাস্তায় বিক্রি হওয়া পানীয়, লেবুর শরবত, রঙিন শরবত, লস্যি থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। সে কারণে ছোটদের এ ধরনের পানীয় কিনে দেওয়া কখনোই উচিত নয়।
এ ছাড়া শিশুদের খাবার খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধোয়া উচিত। সেই সঙ্গে ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। ঘরের ভেতরের বাতাস যাতে বিশুদ্ধ থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে উচিত।
লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রতিদিনের খাবারের টেবিলে একটি সালাদে...
লাইফস্টাইল ডেস্ক: রোজেলা চা নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচা...
নিউজ ডেস্ক : ওজন কমানো একটি ধীর এবং কঠিন প্রক্রিয়া, বিশেষ করে যখন আপনি ...
নিউজ ডেস্ক : শীতের হালকা ঠান্ডায় অ্যাজমা বা হাঁপানির উপসর্গ বেড়ে যেতে পা...
নিউজ ডেস্ক : কারও প্রিয় মুরগির ডিম, আবার কারও হাঁসের ডিম। একেক জনের পছন্...

মন্তব্য (০)