তেল মাখলেই চুল ওঠে, সঠিক নিয়ম মেনে ‘চাম্পি’ করছেন তো?

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক : চুলের যত্নে যত দামি প্রসাধনীই আপনি ব্যবহার করুন না কেন, তেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সে জন্য চুল পড়ার সমস্যাও আপনি অগ্রাহ্য করতে পারবেন না। আর তেল মাখলেই যদি মুঠো মুঠো চুল উঠতে থাকে, তবে সঠিক নিয়ম মেনে ‘চাম্পি’ করা উচিত, তা করছেন কি?

চুলপড়া, চুলের বাড়বৃদ্ধি, খুশকি, অনুজ্জ্বল কেশ— তেলের প্রলেপে সব সমস্যাই দূর হয় বলে বিশ্বাস এখনো গ্রাম-বাংলার দাদি-নানিদের। স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করলে রক্ত চলাচল ভালো হয়। হেয়ার ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছায়। আর মাথায় তেল মালিশ গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতিরই অঙ্গ বলা চলে।

তেল মাখলেই সব সমস্যা যেগম দূর করে চুল বৃদ্ধি করে, ঠিক তেমনই অতিরিক্ত তেলে চুলও পড়ে, সেটিকেও তো অগ্রাহ্য করা যায় না। তাহলে ভুলটা হচ্ছে কোথায়? এ বিষয়ে কেশচর্চা শিল্পীরা বলছেন, চুলের যত্নে তেলের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তবে তা মাখারও কিছু নিয়ম আছে। তা না হলে চুল পড়া কমবে না, উল্টে বেড়ে যাবে। তাহলে তেল মালিশ করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মাথায় রাখতে হবে?

নামিদামি প্রসাধনী নয়, গ্রাম-বাংলার দাদি-নানিদের ঘরোয়া টোটকা নিন—

কী ধরনের তেল মাখছেন?

মাথায় মাখার জন্য তেল নির্বাচন করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চুল ঝরেপড়া নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এমন তেল বেছে নিন, যেগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং ‘কোল্ড প্রেস’ প্রক্রিয়ায় তৈরি। রাসায়নিক প্রায় নেই বললেই চলে। সঙ্গে যদি নিম, আমলকী, জবাফুল, ব্রাহ্মী কিংবা কেশুতের নির্যাস থাকে, তাহলে আরও ভালো।

সঠিক ভঙ্গিতে বসছেন কি?

তেল মাখার সময় কোন ভঙ্গিতে বসছেন, সেটিও মাথায় রাখতে হবে। মাথায় পাহাড়সমান চিন্তা নিয়ে তেল মাখতে বসলে হবে না। ঘাড়, কাঁধ শিথিল করে মাটিতে রেখে সোজা হয়ে বসে মাথায় তেল মাখতে পারেন। যদি অন্য কারও সাহায্য নেন, সে ক্ষেত্রে টান টান হয়ে শুয়ে পড়াই ভালো। চোখ বুজে, গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে শান্ত মনে উপভোগ করতে হবে ‘চাম্পি’।

কীভাবে মাসাজ করছেন?

তেল মাসাজ করার পদ্ধতিতে গলদ থাকলে চুল ঝরেপড়ার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। স্ক্যাল্পে, ঘাড়ে, কাঁধে, কপালে এবং কানের পাশে বেশ কিছু প্রেশার পয়েন্ট রয়েছে। মাসাজ করার সময়ে আলতোভাবে চাপ দিলে মানসিক চাপ আয়ত্তের মধ্যে থাকে। ধীরে ধীরে চুল ঝরেপড়ার পরিমাণও কমতে থাকে। আর আমলকী চুলের জন্য ভালো, তার সঙ্গে যদি অ্যালোভেরা মিশিয়ে নিতে পারেন কাজ হবে দ্রুত।

মাথায় তেল কতক্ষণ রাখছেন?

সবার স্ক্যাল্পের ধরন এক রকম নয়। তাই সবাই একই রকম তেল মাখতে পারেন না। আবার তেল মেখে দীর্ঘক্ষণ রেখে দেওয়ার নিয়মও সবার জন্য নয়। স্পর্শকাতর কিংবা তৈলাক্ত স্ক্যাল্প হলে তেল মেখে রেখে দেওয়ার কোনো কারণ নেই। ১৫ মিনিট থেকে আধঘণ্টা রাখলেই হবে। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আবার অতিরিক্ত শুষ্ক, রুক্ষ, কোঁকড়া চুল হলে তেল মেখে সারারাত রেখে দেওয়া যেতে পারে।

তেল মেখে চুল আঁচড়াচ্ছেন?

তেল মালিশ করে চুল আঁচড়ে টেনে বেঁধে রাখার অভ্যাসেও চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তেল মাখার পর অতিরিক্ত গরম বোধ হলে আলগা বিনুনি করে রাখতে পারেন।