• লাইফস্টাইল

কফি নাকি চা: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোনটি ভালো?

  • লাইফস্টাইল

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক : কফি কিংবা চা- দুই পানীয়ই প্রতিদিনের জীবনের অংশ। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোনটি উপকারী, সেই প্রশ্ন নিয়ে অনেকের দ্বিধা থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, কফি ও চা উভয়েরই স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। তবে আসল বিষয় হলো, এগুলো কীভাবে পান করা হচ্ছে।

কফি ও ডায়াবেটিস

বিভিন্ন গবেষণা বলছে, নিয়মিত কফি পান টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সামান্য কমাতে পারে। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক।

ব্ল্যাক কফিতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম, ফলে এটি ওজন বাড়ায় না। তবে দিনে তিন থেকে চার কাপের বেশি কফি খেলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- কফিতে চিনি, ক্রিম বা মিষ্টি দুধ মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

চা ও ডায়াবেটিস

গ্রিন টি-তে থাকা ‘ক্যাটেচিন’ নামক উপাদান ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ব্ল্যাক টি এবং হারবাল টি-ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, যা হৃদ্‌স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

চায়ে কফির তুলনায় ক্যাফেইনের পরিমাণ কম, তাই হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের জন্য চা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বিকল্প হতে পারে। তবে দুধ চা বা চিনি মিশ্রিত চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আবার কিছু হারবাল টি রক্তচাপের ওষুধ বা রক্ত তরলকারী ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে—এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

মূল বার্তা

কফি ও চা- দুটিই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে, যদি তা পরিমিত মাত্রায় এবং চিনি ছাড়া পান করা হয়। কফি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে, আর চা কম ক্যাফেইনের সুবিধা দেয়।

তবে কোনটি গ্রহণ করবেন, তা নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও পানীয়টি কীভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে তার ওপর। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো- সাধারণ ব্ল্যাক কফি বা চিনি ছাড়া চা।

মন্তব্য (০)





  • company_logo