নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলার নবাগত পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন"মাদকের সাথে আমার কোন পুলিশ জড়িত থাকলে আপমারা প্রমান দিবেন,আমি তাদের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো। মাদকের ব্যপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করবো। কিশোর গ্যাং নিয়ে যদি এখন কাজ করতে যাই, তাহলে উল্টো বিপদ আছে। কি বিপদ? সবাই এক হবে, আবার আমাদের থানা পুড়ানো শুরু হবে। আগে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ গুলো শুরু করি। আপনারা বেলছেন সাংবাদিক ভাইয়েদের নামে মামলা হচ্ছে। আসলে যে কেউ বাদি হয়ে মামলা করতেই পারে। মামলা হওয়ার মানে তো এই না যে তার জেল-হাজত হয়ে যাচ্ছে। মামলাটা হলো প্রাথমিক পর্যায়। এরপর আমরা ওইটা তদন্ত করবো। তারপর যদি তার বিরুদ্ধের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে সে অভিযুক্ত হবে, সতত্যা না পাওয়া গেলে তাকে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হবে। তদন্ত না করে কাউকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করবে না পুলিশ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি নিজেই প্রথম এখানে এসে যানযট দেখে বলেছি, এটাতো কোন শহরের অবস্থা না। আমি সাথে সাথে আমাদের পুলিশদের ডেকেছিলাম, টিআইদের ডেকেছিলাম। তারাও মানসিক ভাবে একটু খারাপ অবস্থায় ছিলো। আমি তাদের উজ্জিবিত করেছি। আমি বলেছি, প্রথমে যানযটের সমস্যা সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি ভলেন্টিয়ার দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। আপনাদের ভেতর থেকেও কারো দশটা সিএনজি বা দশটা অটো আছে; এসব নিয়ে তদবির করবেন না প্লিজ। তাহলে আমি কিন্তু কাজ করতে পারবো না।
পুলিশ সুপার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,বর্তমানে একটি প্রতিকুল পরিস্থিতিতে আমরা পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে পালন করছি। এই দায়িত্ব পালনে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। অনেক চড়াই-উতরাই আছে। কারণ আমাদের পুলিশের মনোবলটা এখন ভেঙ্গে গেছে। গত ৫ আগস্টের পর আমাদের বিভিন্ন থানা-অফিস ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমরা পুলিশের মনোবল ফেরাতে প্রথমে কাজ করবো। পাশাপাশি জনগনের মধ্যেও পুলিশের প্রতি যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছিলো, সেই জায়গা থেকে উত্তরণের আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে সবার আগে সহযোগীতা প্রয়োজন আপনাদের। আপনারা যদি অতিতের মতো সহযোগীতা না করেন, তাহলে আমরা সব পুলিশ মিলেও জনগনের আস্থা ফেরাতে পারবো না। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন, আমার পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। আপনারা অবশ্যই গঠনমুল সমালোচনা করবেন, সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাবো।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আমদের ভুলত্রুটি শুধরে দেওয়ার জন্য যদি বলেন যে এইখানে এটা হচ্ছে, কারণ আপনারা এখানকার স্থানীয়। আমরা আসছি চাকরি করতে। আমাদের চেয়ে আপনারা ভালো জানবেন, এখানে কোথায় কি হচ্ছে। আপনারা আপনাদের কলমের মাধ্যমে অপরাধ তুলে ধরেন। আর আমরা আইনগত ভাবে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করি। আমরা শুধু নির্দিষ্ট একটা পোশাক পরি আপনারা পরেন না, এটাই আপনাদের ও আমাদের মধ্যেকার পার্থক্য। আমি মনে করি, নারায়ণগঞ্জের সবাই আমার আপনজন, শুধু দুস্কৃতকারীরা ছাড়া।
এসময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমাসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য ( ০)