• সমগ্র বাংলা

 শিক্ষার্থী আন্দোলনে দিনাজপুরে নিহত রাহুলের পক্ষে মামলা, আসামি ৫শত

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৯ আগস্ট, ২০২৪ ২০:৫২:৩৪

ফাইল ছবি

দিনাজপুর প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনে দিনাজপুরে গুলিতে কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম রাহুল নিহতের ঘটনায় সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম এবং সহোদর সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমকে আসামি করে আজ সোমবার কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন রুহান হোসেন। মামলা নম্বর ১৮। এই মামলায় ২০ জন নেতার নামসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫শত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরনে বলা হয়েছে, তৎকালীন  প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে বাজাকারের বাচ্চা বলেছিলেন।  এসময় তৎকালীন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সারাদেশে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ছাত্র আন্দোলন দমনের উসকানি দেন।  উসকানি এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীসহ সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী বাহিনী রাজপথসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা ও নির্যাতন করলে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মাত্রা তীব্র আকার ধারন করে। আন্দোলন দমন করতে গত ৪ আগষ্ট জিলা স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীদের উপর জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম এবং সহোদর সুপ্রীম কোর্টে৷ আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের প্রত্যক্ষ  পুরোক্ষ উসকানিতে এবং প্ররোচনায় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছিল। এতে গুলিতে আহত হয়ে জেলা সদরের ৩ নম্বর ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরসাই মহারাজপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম রাহুল (২০) চিকিৎসাধীন অবস্হায় গত ৭ আগষ্ট মৃত্যুবরন করেছে।  রাহুল রানীগঞ্জ এহিয়া হোসেন স্কুল এন্ড কলেজেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এছাড়াও ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জের মল্লিকপুর গ্রামের সাব্বির ইসলাম।  দিনাজপুর সদরের মুসলিম,  রিয়াদ, পারভেজ, জনি গুলিবদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েছিল।

এঘটনায় যুবলীগের জেলা কমিটির সভাপতি রাশেদ পারভেজ, সাধারন সম্পাদক   আনোয়ারহোসেন,  আওয়ামী লীগের কোতয়ালী কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক  বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, শহর কমিটির সহভাপতি  শাহ আলম, যুবলীগ শহর কমিটির সভাপতি আশরাফুল আলম রমজান যুবলীগের ক্যাডার সালেকীন রানা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি  ইবনে রজ্জব, যুবলীগ নেতা মিথুন, সুইট,  ৩ নম্বর ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  অভিজিৎ বসাক, আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, প্রলয় কান্তি জন, হারুনর রশিদ রায়হান,  আওয়ামী লীগের কোতয়ালী কমিটির সাধারন সম্পাদক  ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  মমিনুল ইসলাম, কমিটির সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  ইমদাদ সরকার,  ৫ নম্বর শশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী রানা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগ নেতা মিথুন এর নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞান নামা আরো ৪ থেকে ৫ শত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ধারা ১৪৩/১৪৭/৩২৪/ ৩২৫/৩২৬/৩০৭/ ৩০২/৫০৬/১১৪/ ১০৯/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

মামলায় অভিযুক্তদের দু-নালা বন্দুক, এক-নালা বন্দুক, বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য, পিস্তল, রিভালবার, হালুয়া, সামুরাই, লোহার রড, চাইনিজ কুড়ার, পশু কুড়াল, ধারালো দা, লোহার পাইপ এবং লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

 এসময় পুলিশ সদস্যরা টিআরসেল এবং ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে মামলার বিবরনীতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo