• প্রশাসন

নাগরিক সেবা দিতে সাংবাদিকসহ রংপুরবাসীর সহযোগিতা চাইলেন পুলিশ

  • প্রশাসন
  • ০৮ আগস্ট, ২০২৪ ১৭:২১:০২

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর  ব্যুরোঃ বর্তমান অবস্থায় হতাশায় মনোবল ভেঙে গেছে মাঠ পর্যায়ের পুলিশের। তাদের মধ্যে সংশয় ও ভীতি কাজ করছে। তাই সাংবাদিক ও রংপুরবাসী যদি আমাদের মনেোবল দেন, সাহস দেন, অভয় দেন, আমরা রংপুরবাসীকে সেবা দিতে পারবো। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া নাগরিক সেবা দিতে পারছি না। কেননা আমরা বাইরে গেলে আক্রান্ত হলে, নাগরিকদের সেবা কিভাবে দিবো। আমাদের কর্মপরিবেশ তৈরি করে দেন, আমরা যেন লাঞ্ছিত না হই। এসময় রংপুরবাসীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশের ডিআইজি ও আরপিএমপি কমিশনার।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে রংপুরবাসীর প্রতি এই আহবান জানান রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান।ডিআইজি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্রজনতার জয় হয়েছে। সেই জয়ে রাষ্ট্রের সব কাঠামোয় সংস্কার হবে সবাই প্রত্যাশা করে। আমরাও এই বৈষম্য সংস্কারে পুলিশের মধ্যে বৈষম্যের সংস্কার চাই। মাঠ পর্যায়সহ পুলিশসদস্যরা কয়েকদফা দাবি উপস্থাপন করেছে। দাবীগুলো যৌক্তিক। সরকার গঠন হলে, উপযু্ক্ত মাধ্যমে সেই দাবীগুলো উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরো জানান, তার অধিনস্থ রংপুর বিভাগের আট জেলায় কোথাও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় কোন শিক্ষার্থী কিংবা জনতা অথবা পুলিশ সদস্য মারা যায়নি। তবে অনেকে আহত হয়েছে। আমাদের ২২ জন পুলিশ সদস্য আহত রয়েছে। সেই সাথে পুলিশ লাইন্স, থানা, ফাড়ি অনেক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের শিকার হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব কাটিয়ে উঠে দেশ গঠনে ও নাগরিক সেবা দিতে আবারো তিনি রংপুরবাসী ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, অনেক কষ্ট, দুঃখ হৃদয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমাদের সব অফিসাররা উপস্থিত হয়েছে। আমরা ব্যথিত, আমরা দুঃখিত। রংপুরে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আরও ঘটতো যদি আমাদের জামায়াত বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সহযোগিতা না করতো। তাদের সহযোগিতার কারনে রংপুরে আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন, বর্তমানে পুলিশের কর্মবিরতি চলছে, এই সুযোগে কোন সুযোগসন্ধানী যেন কারো ক্ষতি কিংবা লুটপাট করতে না পারে। সেজন্য আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। ইতিমধ্যে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হয়েছে, সেই সাথে একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াও চলছে। আমরা আশা করছি দ্রুত এই সংকট কেটে যাবে।সরকার শপথ নেয়ার সাথে সাথে যে শুন্যতা রয়েছে তা কেটে যাবে বলে প্রত্যাশাও করেন তিনি।

পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনেই পুলিশের উর্ধ্বতন কমকতা  ও গণমাধ্যমকমীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo