• সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ

ব্রহ্মপুত্র-তিস্তার পানি কমলেও,পানি বৃদ্ধি অব্যাহত করতোয়া ও ঘাঘটে

  • সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ
  • ২৩ জুন, ২০২৪ ১৮:৪৩:৩৮

ছবিঃ সিএনআই

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তার পানি ও ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করছে। অন্যদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর পানি এবং জেলা শহরের পাশে ঘাঘট নদীর পানি বাড়ছে।

তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করায় নদী তীরবর্তী গাইবান্ধা সদরের মোল্লার চর,কামারজানি চর, ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, ফুলছড়ি,এরেন্ডাবাড়ী  ও সাঘাটা উপজেলার হলুদিয়া চরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।সেই সঙ্গে  চরাঞ্চলের নিচু এলাকা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাট জাগতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ২৭  সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ১০৯  সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।যা পূর্বের তুলনায় কমেছে।  অন্যদিকে করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে এবং ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১৪৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।যা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। 

 

 

 

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে করতোয়া ও ঘাঘটের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমেছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।

 

 

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান বলেন, জেলা ও উপজেলায় দুর্যোগকালীন সভা করে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রাথমিক সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সদরে নদী বেষ্টিত যে চারটি ইউনিয়ন রয়েছে, সেসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় শুকনা খাবার বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

 

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক পক্ষে থেকে,  দুর্যোগ প্রবণ ৪টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলায় শুকনা খাবার, নগদ অর্থ, শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ  বরাদ্দ, গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ উপ-বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য চারটি রেসকিউ বোট ও ৩৮৪ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে এবং স্থায়ী-অস্থায়ী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo