লাইফস্টাইল ডেস্কঃ কর্মব্যস্ত জীবন, খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা ইত্যাদি কারণে অনেকেরই যৌনতার ইচ্ছা কমে যায়। তবে বিভিন্ন গবেষণায় যৌনইচ্ছা কমে যাওয়ার পেছনে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে শুধু যৌনজীবন চাঙা রাখতে নয়, কর্মস্পৃহা ধরে রাখতেও এই হরমোন গুরুত্বপূর্ণ।
টেস্টোস্টেরন স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন, এটি কোলেস্টেরল থেকে সংশ্লেষিত হয়ে তৈরি হয়। এ হরমোন প্রধানত পুরুষ প্রজননতন্ত্রের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে। টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, আবার বেড়ে গেলেও বিপদ হতে পারে। পেশির ভর ও শক্তিকে প্রভাবিত করে টেস্টোস্টেরন।
এটি শুধু পুরুষদেরই নয়, নারীদের মধ্যেও থাকে। পুরুষদের মধ্যে এ হরমোনের হার নারীদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য মতে, টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো প্রতি ডেসিলিটারে ৩০০ থেকে ১০০০ ন্যানোগ্রাম। প্রতি ডেসিলিটারে এই হরমোনের মাত্রা ৩০০ ন্যানোগ্রামের নিচে নামলে, হরমোন কমেছে বলে ধরা হয়। তরুণ বয়স পর্যন্ত এই হরমোনের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে, তবে মধ্যবয়স থেকে ক্রমশ কমতে থাকে।
সুঠাম শরীর ও পেশির সুগঠনেও সাহায্য করে এই হরমোন। যদিও নানা অনিয়মের কারণে অনেক পুরুষেরই শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এক্ষেত্রে অনেকেই হরমোন ইনজেকশন বা ওষুধের সাহায্য নেন। তবে ওষুধের সাহায্য না নিয়েও স্বাভাবিক উপায়েই এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়ানো যায়। চলুন, আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে জেনে নিই শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে-
ওজন হ্রাস
শরীরে মেদ জমলে কিংবা ওজন খুব বেড়ে গেলে পুরুষের টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ অনেকটাই কমে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তবে ইন্টারনেট দেখে ডায়েট করলে চলবে না করবেন না, এক্ষেত্রে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করতে হবে।
রোদ লাগানো
ভিটামিন ডি-র অভাবে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে যেতে পারে। যেসব মাছে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে আছে, সেসব মাছ নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি রোদে সময় কাটালে শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব পূরণ হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
মদ্যপান এবং ধূমপান ত্যাগ
বেশি মদ্যপান করলেও টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে। ধূমপানে ক্ষতি হয় আরও বেশি। তাই যৌনজীবন সুখের করতে মদ্যপান এবং ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
মনের ওপর চাপ বাড়লে, উদ্বিগ্নতায় ভুগলে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ অনেক কমে যায়। তাই ক্লান্তি দূর করতে, যৌনজীবন সুস্থ রাখতে মন ভালো রাখা দরকার। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হতে পারে। একটানা একই কাজ করতে করতেও ক্লান্তি আসে, তাই কাজের মাঝে বিরতি নিতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীরচর্চা
শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলেও টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। তাই প্রতিদিন টানা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার ঘুম ভীষণ প্রয়োজন। ভারি শরীরচর্চা বা ওয়েট ট্রেনিংও এই হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মন্তব্য ( ০)