লাইফস্টাইল ডেস্কঃ ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা দেশবাসীর। তবে এমন তাপদাহ পরিস্থিতিতেও আমাদের মধ্যে অনেকে ভাতের পাতে বা বিভিন্ন রান্নার পদে ঘি মিশিয়ে রসনাতৃপ্তি করছেন। আর সাধারণ জনগণের একাংশের এহেন কীর্তি দেখেই চমকে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, মাঝে মধ্যে অল্প-আধটু ঘি খেলে খুব একটা ক্ষতি নেই। তবে এমন দুর্ধর্ষ গরমে যদি নিয়মিত ঘি খান, তাহলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না।এবার এতদূর পড়ার পর আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, গরমে রোজ রোজ ঘি খেলে আবার কোন কোন সমস্যা নিতে পারে পিছু? বিস্তারিত পড়ুন।
পেটের সমস্যার ভ্রূকুটি
বাঙালিদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু তারপরও তারা নিয়মিত ঘি খেয়ে রসনাতৃপ্তি করতে ছাড়েন না। যার ফলে তাদের সমস্যা আরও বাড়ে বৈকি। তাই তো বিশেষজ্ঞরা গ্যাসট্রাইটিস, আইবিএস-এর মতো সমস্যায় ভুক্তভোগীদের গরমে নিয়মিত ঘি খেতে বারণ করেন। আশা করছি, এই সামান্য নিয়মটা মেনে চললেই আপনাদের আর এইসব সমস্যার ফাঁদে পড়ে কষ্ট পেতে হবে না।
হার্টের বাজবে বারোটা
শরীরের সবথেকে জরুরি অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হল হার্ট। তাই যেন তেন প্রকারেণ হৃৎপিণ্ডের হাল ফেরাতেই হবে। আর এই কাজটি সেরে ফেলতে চাইলে ঘি খাওয়ার লোভ সামলে নিতে হবে। কারণ এই দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে ফ্যাটের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু কোলেস্টেরল বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। আর কোলেস্টেরল বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেলে যে অচিরেই হার্টের অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই অঙ্গের হাল ফেরাতে চাইলে ঘিয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নিন।
লিভারের হবে ক্ষয়ক্ষতি
শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া হোক বা হজমে সাহায্য করা– এমনই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে লিভার। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে আপনাকে যকৃতের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতেই হবে। আর সেই কাজটি সেরে ফেলতে চাইলে সবার প্রথমে ঘি খাওয়া ছাড়ুন। কারণ এতে মজুত স্যাচুরেটেড ফ্যাট কিন্তু লিভারে জমতে পারে। এমনকী এই ফ্যাটের কারসাজিতে লিভারে হতে পারে প্রদাহ। তাই পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাওয়ার আগেই সাবধান হন।
ওজন হবে ঊর্ধ্বমুখী
ওজন স্বাভাবিকের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেলেই মুশকিল। সেক্ষেত্রে একাধিক জটিল রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই বাড়বে। তাই যেন তেন প্রকারেণ ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে হবে। আর এই কাজটি সেরে ফেলতে চাইলে নিয়মিত ফ্যাট সমৃদ্ধ ঘি খাওয়া চলবে না। তার বদলে পাতে রাখুন সবুজ শাক সবজি এবং ফল। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনি সুস্থ থাকবেন। এমনকী কোনও বড়সড় রোগব্যাধিও আপনাকে আর বিপদে ফেলবে না।
ঘি কিন্তু বিষ নয়
ঘি সম্পর্কে এতকিছু জেনে ঘিয়ের সঙ্গে একদম বিচ্ছেদ করে নেবেন না। বরং ঘি খাওয়ার আগে একবার বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। তারপর তিনি ঠিক যতটা ঘি খেতে বলবেন, ঠিক ততটাই খান। আর তিনি যদি ঘি খেতে বারণ করেন, তাহলে আর খাবেন না। আশা করছি, এই সামান্য নিয়মটা মেনে চললেই আপনাকে আর বিপদের ফাঁদে পড়ে তেমন একটা কষ্ট পেতে হবে না। উল্টে আপনি উপকারই পাবেন।
মন্তব্য ( ০)