• সমগ্র বাংলা

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণে বাধা নেই

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৫ মে, ২০২৪ ১৪:২৮:৫৩

ছবিঃ সিএনআই

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহা বেগম হাই কোর্ট থেকে নিজের করা রিট আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ তার প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন। ফলে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

গতকাল এ আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বিশেষ বাহকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আদালতে সালেহা বেগমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল করিম। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার ক্লায়েন্ট রুল শুনানি করতে চাচ্ছেন না। তার নির্দেশনায় রিট আবেদনটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলাম। এই রিট আবেদন প্রত্যাহার হওয়ায় ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণে আর কোনো বাধা থাকল না।

এদিকে ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণের জন্য হাই কোর্টের আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিসহ নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হাছান ভূইয়া। তার পক্ষে প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট মো. শহীদুল আলম পাটোয়ারী এ আবেদন জমা দেন। গত ৮ মে এ উপজেলায় ভোট গ্রহণের কথা ছিল। তবে গত ৬ মে ওই উপজেলার ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

কমিশনের এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সালেহা বেগম হাই কোর্টে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার জন্য রিট আবেদন করলে হাই কোর্ট গত ২৫ এপ্রিল মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ দেন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগও হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

তাই আপিল বিভাগের আদেশ মেনে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন রায়কোট উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সালেহা বেগম।

সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ না করে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। এরপর সালেহা বেগম আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন। সেখানেও তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করেন সালেহা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo