ছবিঃ সংগৃহীত
লাইফস্টাইল ডেস্ক:পথের ধারে অবহেলায় বড় হওয়া একটি উদ্ভিস আকন্দ। কেউ এর দিকে বিশেষ নজর দেয় না। অনুর্বর জমি কিংবা হাইওয়ের পাশে এর সরব উপস্থিতির দেখা মেলে। অবহেলায় বড় হওয়া এই আকন্দের কিন্তু রয়েছে অসংখ্য ঔষধি গুণ। আকন্দের পাতা ও শিকড়ের প্রতিটি অংশই ঔষধি গুণে ভরপুর। শরীরের নানা রোগের জন্য উপকারি এটি। আকন্দ সেবনে যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মাথাব্যথা, কানের ব্যথা থেকে মুক্তি মেলায় এটি। পাশাপাশি আকন্দ সেবনে পাইলস থেকে দ্রুত মুক্তি মেলে।
পেট সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত নিরাময়েও সহায়ক এটি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও আকন্দ ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. সুনীতা সোনাল ধামা জানান, আকন্দ গাছের পাতা, ফুল ও শিকড় খুবই কার্যকরী। এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও খুব উপকারী।আকন্দতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ডিসেনট্রিক, অ্যান্টি-সিফিলিটিক এবং অ্যান্টি-রিউমাটিক উপাদান পাওয়া যায়।
গ্রামাঞ্চলে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আকন্দ পাতা ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী, ১৪টি আকন্দ ফুলের মাঝের চৌকো অংশ নিতে হবে। এর সঙ্গে ২১টি গোলমরিচ দিয়ে একসঙ্গে বেটে ২১টি বড়ি বানাতে হবে। প্রতিদিন সকালে পানি দিয়ে একটি করে বড়ি খেলে হাঁপানি রোগের উপশম হয়। এই ওষুধ খাওয়ার সময় পথ্য হিসেবে শুধু দুধ ভাত খেতে হয়। তাহলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়।
হাঁপানির সমস্যা কমায় আকন্দ। এই গাছের মূলের ছাল শুকিয়ে চূর্ণ করে, আকন্দের আঠা দিয়ে মুড়িয়ে বিড়ির মতো বানিয়ে, এর ধোয়া গ্রহণ করলে হাঁপানি সমস্যা লাঘব হয়।
ফোঁড়া ফাটানোর কাজে আকন্দের পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, আকন্দ পাতা দিয়ে ফোঁড়া চেপে বেঁধে রাখলে ফোঁড়া ফেটে যায়।
দেহের কোনো স্থানে দূষিত ক্ষত হলে সেটি সারাতেও আকন্দ ব্যবহার করতে পারে। ক্ষতস্থানটি আকন্দ পাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। এতে সেখানে আর পুঁজ জমবে না। বুকে সর্দি জমে গেলে বলা হয় পুরনো ঘি বুকে ডলতে। ঘি মাখার পর বুকে আকন্দ পাতা গরম করে সেঁক দিলে দ্রুত সর্দি ভালো হয়।
আকন্দের পাতা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ফোলাভাব কমানো যায়। কিন্তু এটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। কারণ আকন্দ গাছ আসলে বিষাক্ত। তাই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।এই গাছের কোনো অংশ কখনওই কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। কারণ আকন্দের পাতা থেকে যে দুধ বের হয়, তাও খুব বিষাক্ত।
এটি চোখের সংস্পর্শে এলে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।এই ফুলের বিষাক্ত আঠা লাগলে ত্বকে ঘা হতে পারে। এই আঠা চোখে গেলে দৃষ্টিশক্তি হারানোরও আশঙ্কা থাকে। তাই এই ফুল তোলার কাজ করার সময় হাতে গ্লাভস আর মুখে কাপড় জড়িয়ে, রোদচশমা পরে তারপরই ফুল তুলতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ আইনজীবি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা...
গোপালপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল এসোসিয়েশন, উত্তরা এবং...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী ফেরিঘাট থেকে চিলম...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানা পুলিশ শুক্...
মন্তব্য ( ০)