চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গায় স্থায়ী উন্নয়ন চাইলে পরিবর্তন দরকার শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জনসভায় বক্তব্যে এ কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান। বক্তব্যে তিনি বলেন আজকের এ গনজোয়ার বলে দেই যে চুয়াডাঙ্গায় স্থায়ী পরিবর্তন দরকার।
চুয়াডাঙ্গা -১ আসনে নির্বাচনী প্রাচার প্রচারনায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন ফ্রিজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা কমিটির সদস্য জনাব এমএ রাজ্জাক খান।
নির্বাচনের আর মাত্র ৪ দিন বাকি আছে। এর মধ্যেই ফ্রিজ প্রতীকের পক্ষে ভোটর বাড়ছে প্রতিনিয়ত। নির্বাচনী এ আসনে নিয়মিত প্রচার প্রচারনা, গনসমাবেশ, ও পথসভা চালিয়ে যাচ্ছেন এমএ রাজ্জাক খান ও তার কর্মী-সমর্থকরা।
মঙ্গলবার ২ জানুয়ারী বিকাল ৪ টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে ফ্রিজ প্রতীকের সমর্থনে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েক ঘন্টার নির্বাচনী জনসভা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
সাবেক জেলা মুক্তিযুোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ফ্রিজ মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দৈনিক গড়ব বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি। এ সময় জনসভা রূপ নেয় জনসমুদ্রে, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ গণজমায়েতে সৃষ্টি করে।
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজের পত্নী দিলরুবা তনু বলেন আপনারা আর কত অবহেলিত থাকবেন, ঘুড়ে দাড়ানোর সময়
এসেছে চুয়াডাঙ্গার জনগণের। আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা আপনাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করুন, ন্যায় ইনসাফ শান্তি শিক্ষা ও আধুনিক জেলা গঠনে ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিন।
এসম বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, আমরা কোন প্রতিপক্ষ কে ভয় পায় না আমার নির্বাচনের সময় আমাকে দুইবার গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তারপরেও আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় বেঁচে আছি, আপনাদের সমর্থন নিয়ে পাঁচ বছর পৌর বাসীর সেবা করেছি।
তিনি আরো বলেন আমাদের প্রার্থী আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ একজন সং নির্ভীক ও ধর্ম পরায়ন ব্যাক্তি, সুতরাং আগামী ৭ জানুয়ারি ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থী আলহাজ্ব রাজ্জাক খানকে জয়যুক্ত করুন। এ সময়, হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস দেখে তিনি আরও বলেন আজকের জনসমাবেশে দেখে আনন্দিত ও উচ্ছাছিত আমি।
আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি ও আমার পরিবার মুগ্ধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরেরও চুয়াডাঙ্গার দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। এই জনপদের অবহেলিত মানুষ শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের রাষ্ট্রীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট করার নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে এলাকার জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদে আসতে পারেন ও জনগণের সেবা করতে পারেন। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীন রাষ্ট্রকে স্মার্ট রাষ্ট্র তৈরি করার এ প্রত্যয় আজ ও আগামীর প্রজন্মের জন্য। চুয়াডাঙ্গা জেলাকে স্মার্ট ও আধুনিক জেলায় রূপান্তর করতে হলে প্রয়োজন বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল। এলাকার কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যর পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন কৃষির আধুনিকীকরণ ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করন। পাশাপাশি বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন সময় উপযোগী শিল্প অঞ্চল গড়ে তোলা।
যা আমি আমার নির্বাচনের ইশতেহারে রেখেছি। আমি আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমত ও আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদের সমর্থন ও ভোটে জয়যুক্ত হয়ে এই এলাকার অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকবো।
আমি সকলকে সাথে নিয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী জেলায় রূপান্তর করবো এই কারনে শেষ বারের মতো আপনাদের দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছি এবং আমার প্রতীক ফ্রিজ মার্কায় ভোট প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজ্জাক খানের পত্নী দিলরুবা তনু ও পুত্র আল-আকসা তানজিম খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সদস্য শরিফ হোসেন দুদু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জানিফ, জাকির হোসেন জ্যাকি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের চুয়াডাঙ্গা সদর শাখার সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, মুফতি আব্দুল্লাহ, জেলা পরিষদ সদস্য মিজানুর রহমান জান্টু, টিটু আহমেদ আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম, মস্তফা খান, রবজেল আলী, ফয়ছাল, বাদশা, টুটুল, উজ্জল বিশ্বাস, মিলন, ফারুখ, সোহেল, সাজ্জাত, শুকুর আলী, জিহাদ, শেখ গোলাম মস্তফা শওকত, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান, প্রমুখ।
মন্তব্য ( ০)