• সমগ্র বাংলা

অভিযানের পরেও আলুর বাজার নেই নিয়ন্ত্রণ

  • সমগ্র বাংলা
  • ০১ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:৪৭:২৭

ছবিঃ সংগৃহীত

রংপুর ব্যুরো: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রংপুরের হিমাগারগুলোতে তদারকি শুরু করেছেন জেলাপ্রশাসকের প্রতিনিধিরা।সরকার নির্ধারিত দামে প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন কর্মকর্তারা। রংপুর জেলায় আলু রাখার হিমাগার ৩৯টি।আলু রাখার হিমাগারে ধারণক্ষমতা ৩লাখ৬১ হাজার ৪৩৮ টন। বুধবার সকাল থেকে হিমাগারগুলোতে একজন মনোনীত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। তারা বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৯ টা থেকে হিমাগারগুলোতে এসেছেন তারা।

নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করছেন। এতে আলু দাম কমবে বলে আশা করেন কর্মকর্তারা।তবে বাজারে আগের চেয়ে ৪ টাকা কমে গেছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন অবরোধের কারনের একটু কমেগেছে।এর ফলে আলুর দাম আস্তে আস্তে কমে যাওয়ার সম্ভবনা। নগরীর পৌর বাজারে আলু ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম,আশরাফুল ইসলাম,ফারুক হোসেন,আরিফ মিয়া জানান,বাজারে আনা নেওয়া খরচ বৃদ্ধি আর পাইকারী বাজারে ভালো আলূ পাওয়া যায়না।সেজন্য ২-৩ টাকা লাভ ধরে বিক্রয় করা হচ্ছে।তবে সরকার যে দাম নিধারন করে দিয়েছে সেই অনুযায়ী আলু বিক্রয় করা হচ্ছে।

পইকারী কাটিনাল আলু ৪৫ টাকা,আর খুচড়া-৫৫টাকা বিক্রয় করা হচ্ছে।তবে দেশি শিল আলু-৬৬-৭৫ টাকা বিক্রয় করা হচ্ছে।সরকার যে আলুর দাম নির্ধারন করেছেন ওই আলু নাম ইস্টিক এগুলো আলু -৪৩-৪৫ টাকা বিক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা। হিমাগার মালিকরা বলেন,আগে থেকেই সরকারী নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করছেন তারা।এদিকে রংপুরের বাজারগুলোতে আলুর বাজারে অগুন লেগেছে,দাম অনেক বেশি।যদিও বিক্রেতারা বলছেন অবরোধের কারণে আলুর দাম একটু বেশি।ক্রেতারা আরও বলছেন নিয়মিত তদারকি করা হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

রংপুর নগরীর উত্তম এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর হিমাগারে আলু রেখে শেষ পর্যন্ত লোকসান গুনতে হয়েছে। এ বছর আলুর বাজার ভালো, তাই সংরক্ষিত আলু তুলে বিক্রি করে দিয়েছি।অন্যদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা রংপুরে সরকারের নির্ধারিত দামে খোলাবাজারে আলু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। প্রশাসনের দাবি-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সম্প্রতি বাজারে ৪০-৪২ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে আলুর দাম খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, একশ্রেণির সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

আর ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকদের দাবি, সংরক্ষণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় আলুর দামের ওপর প্রভাব পড়ছে। তবে মজুত সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রশাসন উদ্যোগ নেওয়ায় প্রতিদিনই খালি হচ্ছে হিমাগার। এতে করে বীজ আলুও আর থাকছে না। অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলে রবি মৌসুমের আলুবীজ রোপণআগাম আলু চাষ শুরু হয়েছে। অঙ্কুর স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজসহ রংপুরের বেশ কয়েকটি হিমাগারের আলুর মজুত শূন্যের কোঠায়।

রংপুরের কয়েকজন  হিমাগার মালিক জানান, প্রতিবছর হিমাগারে সংরক্ষণের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ আলু বীজ হিসেবে রাখা হয়। কারণ রংপুর অঞ্চলে প্রায় দুই লাখ টনের মতো বীজের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে বিএডিসি সরবরাহ করতে পারে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টন। বড় কৃষকরা রোপণের জন্য বীজআলু নিজেদের সংগ্রহে রাখলেও ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কৃষককে ব্যবসায়ী পর্যায়ে বীজআলু সংগ্রহ করতে হয়। তবে এ বছর সব আলু বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে আসন্ন মৌসুমে বীজের সংকট হবে। এতে আলু উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। 

রংপুর হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, যে হারে আলুর চাহিদা দেখা যাচ্ছে, তাতে অক্টোবরের পর নভেম্বরের শেষ দিকে আলুর আরও সংকট দেখা দিতে পারে। তবে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম জানান, দেশের হিমাগারগুলোতে এখন খাবার আলু রয়েছে ২৫ শতাংশ এবং বীজআলু রয়েছে ২২ শতাংশ।সে অনূযায়ী আলুর বাজার নিয়ন্ত্রনে আসবে।কয়েক দিনের মধ্যে আলুর দাম কমে যাবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo