• আন্তর্জাতিক

‎নেপালি সংবাদমাধ্যম সেতুপতির সম্পাদকীয় সতর্কবার্তা

  • আন্তর্জাতিক

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) নেপালের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘সেতুপাটি’ তাদের এক সম্পাদকীয়তে সতর্ক করেছে যে, সেনা বা অন্য কোনো বাহ্যিক প্রভাব খাটিয়ে সংবিধানের বাইরে গিয়ে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের চেষ্টা করা হলে তা রাষ্ট্রকে ভয়াবহ সংকটে ফেলতে পারে।

‎নেপালে সাম্প্রতিক জেন–জি প্রজন্মের নেতৃত্বে হওয়া গণআন্দোলন এবং এর পরবর্তী ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব সামনে এসেছে। সম্পাদকীয় বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো সংবিধানের কাঠামোর ভেতর থেকেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন।

‎এতে বলা হয়েছে, ২৩ ভাদ্রতে জেন–জি প্রজন্মের গণআন্দোলন এবং ২৪ ভাদ্রতে সরকারি দমনপীড়নের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলার ঘটনা নেপালের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব মোড় এনে দিয়েছে। এখানে ২৩ ভাদ্র ও ২৪ ভাদ্র মানে হচ্ছে নেপালি পঞ্জিকার ২৩ ও ২৪ তারিখ, যা ইংরেজি ক্যালেন্ডারে ৮ সেপ্টেম্বর ও ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখের কাছাকাছি পড়ে।

‎সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এই আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র, সুশাসন এবং আইনের শাসনের দাবিকে নতুনভাবে সামনে আনা হয়েছে।

‎সম্পাদকীয়তে দুটি নাম বিশেষভাবে উঠে এসেছে— কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহ এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি
‎সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, জেন–জি আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব হবে গণতন্ত্র, উন্মুক্ত সমাজ, নাগরিক অধিকার এবং আইনের শাসন রক্ষা নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টির আশ্বাস দেওয়াও জরুরি।

‎এতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের ওপর আক্রমণ অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে, যা রাষ্ট্রকেও অচল অবস্থার দিকে ঠেলে দেবে।

‎নতুন নেতৃত্ব বাছাই প্রসঙ্গে সম্পাদকীয়তে দুটি নাম বিশেষভাবে উঠে এসেছে— কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহ এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। এতে বলা হয়েছে, বালেন শাহ জেন–জি প্রজন্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হলেও, সুশীলা কার্কির সাংবিধানিক অঙ্গীকার, সততা এবং আইনের শাসনের প্রতি অনড় অবস্থান এই সময়ে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে নিয়ে আসতে পারে।

‎সংবিধান মেনে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য দুটি সম্ভাব্য পথ তুলে ধরা হয়েছে—

‎সংসদীয় সংশোধনের মাধ্যমে জাতীয় পরিষদের একজন সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা, অথবা শূন্য থাকা নির্বাচনী আসনে সকল দলের সমর্থনে সুশীলা কার্কিকে সংসদে নিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী করা।

‎সম্পাদকীয়তে সতর্ক করা হয়েছে যে, সেনা বা বাহ্যিক প্রভাব দ্বারা সংবিধানের বাইরের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ হলে রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর সংকট ডেকে আনবে।  শেষাংশে জেন–জি প্রজন্মের উদ্দেশে বলা হয়েছে, তাদের উদ্দীপনা ও সচেতনতা গণতন্ত্র ও সংবিধানকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তবে হঠকারিতার কারণে যেন কোনো ভুল সিদ্ধান্তে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বিপন্ন না হয়, সেদিকে সবার সতর্ক থাকা জরুরি।

মন্তব্য (০)





image

শপথ নিলেন নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

নিউজ ডেস্ক :  নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে দেশটির...

image

নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

নিউজ ডেস্ক : নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছে...

image

রাশিয়া–ইউক্রেন আলোচনা স্থগিত: ক্রেমলিন

নিউজ ডেস্ক : রাশিয়া ও ইউক্রেনের আলোচক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ...

image

নেপালে যেভাবে এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পথ

নিউজ ডেস্ক : জেন–জি প্রজন্মের গণআন্দোলনের পর নেপালের প...

image

‎নেপালে জেন-জি ঝড়ে টালমাটাল, নিহত বেড়ে ৫১, পলাতক সাড়ে ১২ ...

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্...

  • company_logo