
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ভবনে এক নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে সাফিউর রহমান নামের এক কনস্টেবলে বিরুদ্ধে। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেনের বডিগার্ড। এ কারণে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন ওসি। ধর্ষিতা ওই নারী পুলিশ সদস্য থানায় অভিযোগ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ঘুরলেও মন গলেনি ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেনের।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছালে ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেন তার বডিগার্ড সাফিউর রহমান ও নারী পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে বদলি করেন। ঘটনাটি দীর্ঘদিন পর হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, গত রমজান মাসে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় নারী ব্যারাক ফাঁকা পেয়ে ওসির বডিগার্ড সাফিউর রহমান সেখানে প্রবেশ করেন। রুমের দরজা আটকিয়ে ওই নারী সদস্যকে ধর্ষণ করে ও মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন। ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে বলে দিলে ফেসবুকে ভিডিও ছাড়ার হুমকি দিতেন। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করতেন সাফিউর রহমান। পরে ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন ওই নারী পুলিশ। তখন তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন সাফিউর রহমান। ওই নারীকে বিয়ে না করায় পুরো বিষয়টি গত ১৬ আগস্ট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. ইবনে ফরহাদকে গোপনে জানান। ফরহাদ বিষয়টি গোপনে মীমাংসা করে দেন।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আল-আমিনের বাড়ি ও সাফিউরের গ্রামের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় ধর্ষকের পক্ষ নেন। ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আল-আমীন শুরু থেকেই পক্ষ নিলে বিপাকে পরেন ওই নারী।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ওই নারী পুলিশ আশুলিয়া থানা থেকে বদলি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় আসেন। যোগদান করার শুরু থেকেই তার পেছনে লাগেন সাফিউর রহমান। পুলিশ হিসেবে দুইজনের মধ্যে পরিচয় হয়। কনস্টেবল সাফিউর রহমান একজন নারী লোভী। আরও অনেক নারী পুলিশকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণ করলে গত ১৭ আগস্ট ওসিকে মামলা নেওয়ার অনুরোধ করেন। ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেন মামলা না করায় বিষয়টি ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী পুলিশ। তখন ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হয়। ঘটনাটি মীমাংসার জন্যে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পুলিশ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাফিউর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আল-আমিন বলেন, প্রথম পর্যায়ে মীমাংসা জন্য চেষ্টা করেছি। আমি চাইনি বিষয়টি জানাজানি হোক। আমি কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করিনি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, আমার থানায় এক নারী পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনা হয়েছে। ওই নারী পুলিশ সদস্য আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। আমরা দুইজনকে পুলিশ লাইনে বদলি করেছি। এখন বিষয়টি ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার তদারকি করছেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আমার বডিগার্ড ছিলেন।
ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্ম...
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে আন্তঃজেলা চোর চক্রে...
জামালপুর প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৯ বছর পর জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম...
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের...
মন্তব্য (০)