• সমগ্র বাংলা

গাইবান্ধায় কলেজ ছাত্র সিজু হত্যার ঘটনায় থানার ওসিসহ ১৫জনের নামে মামলা

  • সমগ্র বাংলা

শিবির নেতা সিজু (ডানে) ও সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম। ছবিঃ সংগৃহীত

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটায় কলেজ ছাত্র সিজু মিয়া হত্যার অভিযোগে সাঘাটা থানার ওসিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন নিহত সিজুর মা রিক্তা বেগম। গাইবান্ধা সাঘাটা থানার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক পাঁপড়ি বড়ুয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ করেন। আগামি ৬০ দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে ১৫জনের নাম উল্লেখসহ  চার/পাঁচজনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়। নামীয় আসামিরা হলেন,  সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম, এএসআই রাকিবুল ইসলাম, এএসআই মশিউর, এএসআই মহসিন আলী সরকার, এএসআই আহসান হাবিব, এএসআই উজ্জল, এএসআই (ডেউটি অফিসার)  লিটন মিয়া ,হামিদুল ইসলাম, আজাদুল ইসলাম, নয়ন চন্দ্র, জয় চন্দ্র, ধর্মচন্দ্র বর্মণ,সাব্বির হোসেন,  ইউসুফ আলী,মমিনুল ইসলাম। 

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, কলেজ ছাত্র সিজু মিয়াকে পরিকল্পীত ভাবে থানা ডেকে নিয়ে গিয়ে ফ্যাসিষ্ট আ.মীগের দোসর আসামিরা তাকে হত্যা করেন। পরিকল্পীত হত্যাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে।

উল্লেখ্য,  গত (২৪ জুলাই) বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার কলেজ ছাত্র  ও সদর উপজেলা গিদারী ইউনিয়ন ছাত্র শিবির সভাপতি সিজু মিয়াকে কৌশলে থানার ডাকে ও তার কাছে ফোন জব্দ করে এসআই রাকিব, এর কয়েক ঘন্টা পরে ফোন ফেরত না পেয়ে  সেই   রাত পৌনে  দশটার দিকে সিজু মিয়া গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে এসআই রাকিবের উপর হামলার চেষ্টা করলে পুলিশের এএসআই মহসিন আলী বাধা দিলে তাকে  ছুরিকাঘাত করে থানার থেকে পালিয়ে থানার সামনের পুকুরে ঝাঁপ দেয় সিজু মিয়া। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাঘাটা থানার সামনের  পুকুরের কচুরিপানার মধ্য থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অজ্ঞাতনামা হিসেবে ওই সিজুর মরদেহ উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ।

পরদিন শনিবার পুকুরে সিজুকে পুলিশ কতৃক পিটিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হয়৷ পরে সেই দিনই গাইবান্ধা পুলিস সুপারের কর্যালয় ঘেরাও করে এলাকাবাসি৷ পরের দিন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে সচেতন নাগরিক ও স্থানীয়রা ৷ এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পরে টনক নড়ে প্রশাসনের।

ঘটনাটি তদন্তে  তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  তদন্ত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ অপর সদস্যরা হলে মোছাঃ রুনা লায়না অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম ম্যানেজম্যান্ট ডিাইজি রংপুর রেঞ্জ ও গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরিফুল ইসলাম৷

মন্তব্য (০)





image

ফরিদপুরের মধুখালীতে বিএনপির কর্মী সম্মেলনে নাসির-ঝুনু গ্র...

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্ম...

image

কিশোরগঞ্জে যুবদলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ নিহত ১, আহত ২৬

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র ...

image

উলিপুরে আন্তঃজেলা চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার, মোটরসাইক...

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে আন্তঃজেলা চোর চক্রে...

image

ব্যানার-ফেস্টুনে সেজেছে জামালপুর, জেলা বিএনপির সম্মেলন কাল

জামালপুর প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৯ বছর পর জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম...

image

ঈশ্বরগঞ্জে সুদের টাকার জন্য বৃদ্ধ পিতাকে লাঞ্চিত, থানায় অ...

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের...

  • company_logo