লালমনিরহাট প্রতিনিধি:মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে লালমনিরহাটে বড়বাড়ি ইউনিয়নের শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে শুরু হয়েছে মৎস্য ও পিঠা মেলা।বউ জামাই মেলা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এ মেলায় দুই শতাধিক স্টল রয়েছে।প্রতিদিন মেলায় ভিড় করছে হাজারো দর্শণার্থী। মেলাকে প্রাণবন্ত করতে রয়েছে নানা রকম গ্রামীণ বিনোদনের আয়োজন। এ মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৎস্যজীবীরা মাছের পসরা বসিয়েছেন। রয়েছে হরেক রকমের পিঠেপুলির আয়োজন। সোমবার এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু ও ও বিএনপি নেত্রী, বিশিষ্ট সমাজসেবক লায়লা হাবীব।
মেলায় সরে জমিনে গেলে দেখা যায় টেবিলে টেবিলে সাজানো রয়েছে নানান রকম পিঠা।নকশী পিঠা ,পাকান পিঠা, বউ জামাই পিঠা, তারাপিঠা,নাড়ু পিঠা, দুধপুলি, পুলি পিঠা,লবঙ্গ লতিকা সহ শতাধিক রকমের পিঠা দিয়ে শুরু হয়েছে লালমনিরহাটে বিজয়ের মাসের এ পিঠা উৎসব। হারিয়ে যাওয়া পিঠার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে আয়োজকরা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানান রকম পিঠা রয়েছে এ মেলায়। প্রতিদিনই পিঠার দোকানে ভিড় করছে পিঠা প্রেমিকরা। নানান রঙ্গে আর আকৃতিতে তৈরি কৃত এসব পিঠা দর্শনার্থীদের মন কাড়ছে। মানে ভালো আর দাম হাতের নাগালে হওয়ায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এ পিঠা মেলার পাশাপাশি রয়েছে দেশীয় জাতের মৎস্য মেলা। মেলায় রয়েছে স্থানীয় মৎস্যচাষীদের পুকুরের হরেক রকমের মাছ।
মেলায় আগত দর্শনার্থী অ্যাডভোকেট জিন্নাত আরা রোজি, ইকবাল বানু হেলেন,সাজু পাটোয়ারী জানান, এই মেলার মাধ্যমে আমরা বিলুপ্ত কিছু পিঠার নাম জানতে পারছি। তাই আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছি এ মেলায়। স্থানীয়দের তৈরি হরেক রকম পিঠা ক্রেতাদের মন কেড়েছে। তাছাড়াও দাম হাতের নাগালে থাকায় সবাই কিনতে পারছেন।
ভিন্ন নামের আর ভিন্ন স্বাদের এসব পিঠার স্বাদ নিতে আর নাম জানতে ছুটে এসেছেন শিশু সন্তানদের নিয়ে পরিবারের লোকজন।
পিঠা মেলার উদ্বোধক নারীনেত্রী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক লায়লা হাবিব বলেন, বর্তমান প্রজন্ম ফাস্টফুডের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে স্বাস্থ্যহানি সহ নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। আর কালক্রমে গ্রামীণ ঐতিহ্যের এসব খাবার আমাদের সমাজ ও পরিবার থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এসব খাবার তুলে ধরতে আমাদের এই আয়োজন।
এ মৎস্য ও পিঠা মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, আমাদের সমাজ থেকে গ্রামীণ কিছু উৎসব হারিয়ে গেছে। নানান রকমের গ্রামীণ খাবার, পিঠাপুলি উৎসব সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা এসব এখন আর বেশি চোখে পড়ে না। তাই আকাশ সংস্কৃতির এ যুগে এসব ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এ আয়োজন। যাতে নতুন প্রজন্মসহ সমাজের মানুষ এগুলো জানতেও দেখতে পারে। এ উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক ,সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আহনাত হাবিব, মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এ বি এম ফারুক সিদ্দিকী ও সদস্য সচিব নাজমুল হুদা লিমন সহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মন্তব্য (০)