
ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : অবশেষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘ভূখণ্ড ছাড়’ প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর ফক্স নিউজের জনপ্রিয় টক শো শন হ্যানিটিতে এ কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে আমি একমত যে রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড তুলে দিলে এ যুদ্ধের অবসান হবে। ইউক্রেনকেও এতে রাজি হতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের এক দম্পতি ওলেনা ও ইউরি রোমানচেঙ্কো। এই বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক লজ্জা বলেই অভিহিত করেছেন তারা। সিএনএন, রয়টার্স।
ইউরি রোমানচেঙ্কো বলেছেন, ‘এই বৈঠক আসলে পুতিনের জন্যই হয়েছে। তাকে দেখানো হয়েছে যে তিনি আবারও বিশ্বমঞ্চে ফিরেছেন। আর তাকে লালগালিচা দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ইনডিপেনডেন্স স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমেরিকানদের জন্য আমি লজ্জিত। তারা প্রথম দিন থেকেই আমাদের সাহায্য করেছে, আমাদের নিয়ে গর্ব করেছে। কিন্তু তারা নিজেদের জন্য এমন এক প্রেসিডেন্ট পেয়েছে যিনি পুতিনের সামনে দাঁড়াতে ভয় পান।
অন্যদের সামনে শক্তি দেখালেও, পুতিনের সামনে তিনি দুর্বল।’ ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের বাসিন্দারা ট্রাম্প ও পুতিনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনের জন্য সারা রাত জেগে অপেক্ষা করছিলেন।
৩৮ বছর বয়সি থিয়েটার ম্যানেজার নেব্রোয়েভ বলেছেন, ‘আমি প্রত্যাশিত ফলই দেখেছি। এটা পুতিনের জন্য এক বিশাল কূটনৈতিক বিজয়। তিনি সম্পূর্ণভ্লাবে নিজেকে বৈধতা দিতে সক্ষম হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এটা ছিল অর্থহীন এক বৈঠক। সময়ের অপচয়। ইউক্রেন-সংক্রান্ত যে কোনো ইস্যু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অংশগ্রহণেই সমাধান করতে হবে।’
৫০ বছর বয়সি ফটোগ্রাফার ইরিনা দেরকাচ বলেছেন, ‘আলোচনা হোক বা না হোক, খারকিভ প্রায় প্রতিদিনই গোলাবর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমাদের শহরে কোনো পরিবর্তন হয়নি।’
এক মিনিটের নীরবতায় শহীদদের স্মরণ শেষে ইরিনা বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি জয় আসবে, তবে তা কে এনে দেবে সেটা শুধু সৃষ্টিকর্তাই জানেন। আমরা আশা হারাই না, আমরা দান করি, সাহায্য করি যতটা পারি। আমরা আমাদের কাজ করে যাই এবং ট্রাম্প কী করছেন তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাই না।’ উলেখ্য, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ইনডিপেনডেন্স স্কোয়ার এখন যুদ্ধাহত পরিবারগুলোর স্মৃতির স্থান।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এমন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রস্তাব দিয়েছে, যা ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর মতো, তবে ন্যাটো থেকে আলাদা।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী ও এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে শনিবার হওয়া এক ফোনালাপে এই প্রস্তাবটি এসেছে।
ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসাবে মার্কিনপক্ষ ন্যাটোর অনুরূপ অনুচ্ছেদ-৫ ধাঁচের নিশ্চয়তার প্রস্তাব দিয়েছে। যাতে রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনও সম্মত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউজ ডেস্ক : ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ই...
নিউজ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে একটি রেস্তোর...
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের...
নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দলের ভারত সফর বাতিল করা ...
নিউজ ডেস্কঃ আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্টি হয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণি...
মন্তব্য (০)