• সমগ্র বাংলা

নওগাঁয় আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর, ঝুঁকি এড়াতে তৎপর প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

নওগাঁ প্রতিনিধি: লাগাতার ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নওগাঁর নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্য আত্রাই নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে দিনে ও রাতে নদী সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পর্যবেক্ষণ করা এবং জরুরী অবস্থায় করনীয় বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতন করাসহ নানা বিষয়ে তৎপরতা চলমান রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার কোন আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল। এদিকে জরুরী অবস্থা মোকাবেলা করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা আছে বলে জানিয়েছেন রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার ফলে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসর-সমসপাড়া পাকারাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ওই এলাকার কয়েক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তার উপর কোমর পানি হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে ওই এলাকায় পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নভূমি বাহাদুরপুর, দমদত্তবাড়িয়া, হিঙ্গুলকান্দি, জগন্নাথপুরসহ কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব গ্রামের লোকজন তাদের গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। গো চারণভূমি ও উঁচু জায়গার অভাবে তারা তাদের এসব গবাদি পশু বাড়ির বাইরে বের করতে পারছেন না। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করায় ওই এলাকাগুলোর পানি দ্রুতই নামতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত আত্রাই নদীর জোত বাজার পয়েন্টে পানি সমতল বিপদ সীমার ৪৬সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং আত্রাই নদীর রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে পানি সমতল বিপদ সীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ছোট যমুনা নদীর লিটন ব্রীজ পয়েন্টে পানি সমতল বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, আত্রাই নদীর শিমুলতলী পয়েন্টে পানি সমতল বিপদ সীমার ১মিটার ৩৮সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, আত্রাই নদীর মহাদেবপুর পয়েন্টে পানি সমতল বিপদ সীমার ৯৯সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে সম্প্রতি উজানে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি তেমন একটা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। উজানে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে দ্রুতই নদীর পানি কমতে শুরু করবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরো জানান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই আত্রাই উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ রসুলপুর, সদুপুর, লালুয়া, বেওলা, নন্দনালী, জগদাস, শিকারপুর, দুবাই, গুরনৈ এবং রাণীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ি, কৃষ্ণপুর, ঘোষগ্রামসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো দিনে এবং রাতে পরিদর্শন করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসানের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডও সব সময় উপজেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। তবে নদীর তীরবর্তী ও কিছু কিছু নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করায় সাময়িক ভাবে কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। দ্রুতই যেহেতু পানি কমছে সেহেতু পানি কবলিত গ্রামগুলো থেকেও দ্রুত পানি সরে যাবে। তবে আগামীতে যদি আকাশের ভারী বৃষ্টিপাত আর না হয় এবং উজান থেকে পানি আসা কমে তাহলে নতুন করে নওগাঁয় বাঁধ ভেঙ্গে বন্যা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, জেলা প্রশাসক স্যারের সার্বিক নিদের্শনা মোতাবেক সব সময়ই আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন অব্যাহত রাখা হয়েছে। ইতিপূর্বে রাণীনগর উপজেলার ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ি সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাঁধ মেরামত করা হয়েছে। তাই রাণীনগর উপজেলায় ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধিতে তেমন একটা ভয় নেই। এছাড়া আত্রাই উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোও সব সময় পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। প্রশাসন যে কোন সমস্যায় সব সময় মানুষের পাশে আছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বাত্মকভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষার্থে চেষ্টা চালিয়ে যাবে। প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে একটি করে দল গঠন করা হয়েছে। যে দলের সদস্যরা ঝূঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে কোন সমস্যা দেখলেই প্রশাসনকে জানাবেন এবং দ্রুত করনীয় বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অর্থাৎ দুই উপজেলাতেই পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বদ্ধ পরিকর। দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি দুই উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

মন্তব্য (০)





image

কালীগঞ্জে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে বিএনপির মতবিনিময়

গাজীপুর প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালীগঞ্জে খ্...

image

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবীদের নিয়...

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : দক্ষ জনশক্তি গঠন করে দেশকে এগিয়ে নিত...

image

কালীগঞ্জে টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের ১১টির বরাদ্দ ফেরত

গাজীপুর প্রতিনিধি

image

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ মাদ্রাসা ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

চাপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে একটি মহিলা মা...

image

বগুড়ায় খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ

বগুড়া প্রতিনিধি :বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া...

  • company_logo