• সমগ্র বাংলা

প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার কৌশল শিখছে লালমনিরহাট গার্ল গাইড

  • সমগ্র বাংলা
  • ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ২২:৩৪:২৯

ছবিঃ সিএনআই

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: প্রতিকুল পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলতে লালমনিরহাটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গার্লস গাইডের কাযক্রম চলছে।দক্ষ শিক্ষিকাদের তত্বাবধায়নে নারী শিক্ষার্থীরা এ গার্লসগাইডের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ আর কলাকৌশল শিখছে।ফলে নুতন প্রজন্ম আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখছে।জেলায় ৩শতাধিক নারী শিক্ষার্থী গার্লস গাইডের সদস্য হিসেবে কাজ করছে।

“আত্নবিশ্বাস গড়ে তোলো,আত্নমযাদায় এগিয়ে চলো”—এই শ্লোগানে লালমনিরহাটে গার্লস গাইডের কাযক্রম চলছে।সমাজ ও প্রকৃতির নানারকম প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলার জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করছে।বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় তাবু দিয়ে ঘর তৈরি করে নিজেদের কাজ নিজেরাই করছে।ঝড়,বন্যা সহ নানারকম দুযোগে প্রতিকূলতা কাটিয়ে কিভাবে টিকে থাকতে হবে তার কৌশল আয়ত্ব করছে।প্রকৃতি ও পরিবেশ অনুযায়ী জীবন ধারণ,অন্যকে সহযোগীতা আর সৃজনশীল কাজে নিজেকে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে গার্লস গাইডের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে চলছে।লেখাপড়ার পাশাপাশি নুতন প্রজন্মের এ দক্ষতা অর্জন আর প্রশিক্ষণ উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে ভূমিকা রাখবে।

শিক্ষার্থী দীপিতা অদ্রি ও রাফিয়া ইশরাত জাহান জানায়,দলগত কাজ,পারস্পরিক বোঝাপড়া আর নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ণেভূমিকা রাখছে এ কাযক্রম।ফলে নিজেদের দৈনন্দিন কাজগুলো সহজ হয়ে উঠছে।তবে গার্লস গাইডের এ কর্মকান্ডকে সকল বিদ্যালয়ে চালু করতে হবে।জেলার কালেক্টরেট মাঠে অনুষ্ঠিত এক তাবু জলসায় শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন কলাকৌশল প্রর্দশন করে। এসময় তারা মশাল প্রজ্জলন,নাচ,গান,অভিনয়,নাটক পরিবেশন করেন।

তাদের এসব নিয়ন্ত্রণ করেছে দক্ষ শিক্ষকবৃন্দ। সরকারী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ প্রশিক্ষকগনের তত্বাবধায়নে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গার্ল গাইডের মেয়েরা এসব নিয়মকানুন শিখছে। বাংলাদেশ গার্ল গাইড,লালমনিরহাট জেলা কমিশনার শিক্ষিকা সরমিন আরা হক জানান,গার্লস গাইডের মাধ্যমে মেয়েদের আত্ননির্ভরশীল করা সম্ভব। মেয়েদের প্রশিক্ষন ব্যবস্থা জোরদার সহ গার্ল গাইডের বিস্তার ঘটাতেহবে।এজন্য জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের সহায়তাকামনা করেন তিনি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান,লালমনিরহাটের গার্ল গাইডকে দেশ সেরা বানাতে হবে। এর জন্য জেলা প্রশাসন সহায়তা করবে।মেয়েদেরকে উন্নত চিন্তা চেতনা মননে লালিত করতে হবে।তবেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। নিজেকে প্রতিকুল অবস্থায় টিকিয়ে রাখার এ কৌশল কে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক মনে করছেন সচেতন মহল।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo