• সমগ্র বাংলা

সংস্কারের অভাবে লালমনিরহাটে তিস্তা স্পার বাঁধগুলোর সুফল পাচ্ছেনা স্থানীয়রা

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:০৭:০২

ছবিঃ সিএনআই

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ সংস্কার না করা আর নদীর গতিপথের পরিবর্তনের কারণে তিস্তা নদীতে নির্মিত স্পারবাঁধ গুলোর সুফল পাচ্ছেনা তিস্তাপাড়ের মানুষ।নদীভাঙ্গন রোধ,ফসলী জমি রক্ষা ও বালুচরে চাষাবাদ করার লক্ষ্যে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে তিস্তা নদীতে নির্মিত হয় ৫টি স্পার বাঁধ। দীর্ঘ সময় যার সুফল পেয়েছিল তিস্তা পাড়ের মানুষ। কিন্তু সময়মতো সংস্কার না করা আর নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে গত তিন বছর থেকে স্পারগুলোর সুফল পাচ্ছেনা নদীপাড়ের বাসিন্দারা। আবার দেখা দিয়েছে নদীভাঙ্গন আর জলাবদ্ধতা।

জানা যায়, তিস্তা নদীর ভাঙ্গন রোধ ,বালুচরে চাষাবাদের লক্ষ্যে লালমনিরহাট জেলায় তিস্তা নদীর বাম তীরে ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে নির্মিত হয় ৫টি স্পার বাঁধ।এ স্পার বাঁধ নির্মাণের ফলে আদিতমারী উপজেলার চন্ডিমারী,বালাপাড়া,কুটিরপাড়,মহিষখোচা,গোবর্ধন সদর উপজেলার কালমাটি,রাজপুর ,খুনিয়াগাছ,জগতবেড় সহ ১০টি গ্রামের মানুষ নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষা পায়। তিস্তার বামতীরের এ স্পারগুলোর ১৫কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ধান,পাট,ভূট্টা,সবজী সহ বিভিন্ন ধরনের সবজী চাষ করত নদীপাড়ের মানুষজন। স্পার বাঁধের সুফল স্থানীয়রা দীর্ঘ সময় ভোগ করলেও বর্তমানে তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন,নাব্যতা সংকট আর স্পারগুলোর সংস্কার না হওয়ায় গত তিন বছর থেকে এর কাংখিত সুফল পাচ্ছেনা তারা।

তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা রহিম মির্জা,আব্দুর রশিদ,আলম হোসেন জানান,এ স্পারগুলো যখন নির্মাণ হয় তখন এর সুফল পেয়েছি আমরা।এ স্পারগুলো নির্মাণের ফলে নদীভাঙ্গন কমে গিয়েছিল।স্পারের আশেপাশে বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে চর জেগেছিল।সেসব চরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সেচ দিয়ে নানারকম ফসল চাষ হতো।কিন্তু গত তিন বছর থেকে স্পারগুলোর সুফল মিলছেনা।তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন,শ্রোত,আর সংস্কারের অভাবে স্পারগুলোর তলদেশে গভীর গর্ত হওয়ায় পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা আর নদীভাঙ্গন।

পানির শ্রোতের কারণে স্পারের আশেপাশের বাড়ীঘর,ফসলী জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।স্পারের আশেপাশে গভীর গর্ত হয়ে সারাবছরই পানিতে ডুবে থাকছে জমি।ফলে আর আগের মতো চাষাবাদও হচ্ছেনা।তাই নদীপাড়ের মানুষ দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শূনীল কুমার রায় বলেন,তিস্তা নদীর ভাঙ্গনরোধ সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ড কাজ করছে। অবিলম্বে বাড়ীঘর ও ফসলী জমি রক্ষায় তিস্তায় টেকসই ও যুগোপযোগী বাঁধ নির্মান সহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবী স্থানীয়দের।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo