• সমগ্র বাংলা

তালিকায় নাম থাকলেও জানেন না সুবিধাভোগি, ১৮ মাসের চাল না পাওয়ার অভিযোগ

  • সমগ্র বাংলা
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:০৫:২৭

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১৮ মাসের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি)'র বরাদ্দের চাল চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক নারী। ২০২৩ -২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দের কার্ড নম্বর ৩৩৪। ওই নারীর নামে ইস্যু হওয়া কার্ডের কথা ১৮ মাস পর জেনেছেন তিনি।

লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) নঈম উদ্দিন। তিনি জানান, এতদিন কার্ডটি কার কাছে ছিলো সেটির খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সাবানা খাতুন৷ তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হাটিথানা পুটিমারী এলাকার ফাইদুল ইসলামের স্ত্রী।

লিখিত অভিযোগ ও সাবানা খাতুনের সঙে কথা বলে জানা গেছে, কার্ডটি করার জন্য প্রথমত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আদুরী আক্তারের স্বামী বিজু মিয়াকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সাবানা। কিন্তু এরপর বিজু বলেছেন কার্ড হয়নি। পরে বিভিন্ন সময় টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন যেভাবে হউক একটি কার্ড দেবে। পরে ১৮ মাস পরে জানতে পারেন সাবানার নামে ভিডব্লিউবি'র কার্ড ইস্যু হয়েছে। কিন্তু এই ১৮ মাসের চাল তার নামে কেউ টিপশই দিয়ে তুলে নিয়েছেন ততদিনে। সাবানা খাতুন কার্ড সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সম্প্রতি দুই মাসের চাল তুলতে পেয়েছেন। তবে তার দাবি, বিগত ১৮ মাসের চাল ফেরত দিতে হবে।

ভুক্তভোগী সাবানা জানান, বিজুর কাছে কার্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, সাবানা নামের দুইটা কার্ড পাশ হইছে। কিন্তু চেয়ারম্যানের সাথে ঝামেলা হওয়ায় কার্ড দুইটি আটকে রাখছে। পরে বিজু মিয়া আমাকে ১৮ মাস পর কার্ড ফেরত দিয়েছে। সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বামী বিজু মিয়াকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলি।

থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, উনি (সাবানা) যে ১৮ মাস থেকে চাল পায়নি এ নিয়ে আমাকে তো কখনো অভিযোগ দেয় নি। আর উনি কীভাবে কার কাছে কার্ড পেল, সেটি জানা দরকার বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo