• লাইফস্টাইল

জেনে নিন কারা কারা মধু খাবেন না।

  • লাইফস্টাইল
  • ২৫ জুলাই, ২০২৪ ২০:৪৫:৫৫

ছবিঃ সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক: মধু পুষ্টিকর খাবার। ওষুধ হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু এই উপকারি তরল সবার জন্য উপাদেয় নাও হতে পারে। কিছু কিছু মানুষের মধু না খাওয়াই ভালো। জেনে নিন কারা কারা মধু খাবেন না। 

মধুর পুষ্টিগুণ 

আমাদের অতি পরিচিত মধুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, আয়রন, কপারের মতো জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। শুধু তাই নয়, এতে বেশ কিছু উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। যার ফলে মধু খেলে শরীর থাকে সুস্থ-সবল। 

তবে মহৌষধি মধুও কিন্তু সবার জন্য উপাদেয় নয়। সেক্ষেত্রে কিছুজনের শরীরে ভীষণ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এই মিষ্টি খাবার। এমনকি এই খাবারের কারণে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। 

ডায়াবেটিসে চলবে না​ 

অনেক সুগার রোগী মনে করেন চিনির বদলে মধু খেলে বুঝি তেমন একটা ক্ষতি হয় না। তবে এই কথার কোনও বিজ্ঞানভিত্তি নেই। উল্টো মধু খেলেও রক্তে সুগার লেভেল এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। কারণ, এতে রয়েছে ফ্রুকটোজ নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের হাল বেহাল করার ক্ষমতা রাখে। তাই চেষ্টা করুন ডায়াবেটিসে মধু না খাওয়ার।

ফ্যাটি লিভার থাকলে সাবধান

আপনি কি ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন? তাহলে ভুলেও রোজ রোজ মধু খাবেন না। এই ভুলটা করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এমনকি লিভারকে ঘিরে ধরতে পারে সিরোসিসের মতো জটিল অসুখ। তাই ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখে ভুক্তভোগীরা অবশ্যই মধু এড়িয়ে চলুন। তার বদলে আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আর্টিফিশিয়াল সুইটনার খেতে পারেন। তাতেই লিভার থাকবে সুস্থ-সবল। এমনকি একাধিক অসুখও কাছে ঘেঁষতে পারবে না।

দাঁত ও মুখের সমস্যায় চলবে না মধু​

অনেকেই সারাবছর দাঁত বা মুখগহ্বরের নানা সমস্যায় ভোগেন। আর এই সমস্যা নিয়ে যদি নিয়মিত মধু খান, তাহলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। কারণ, মধুর মতো মিষ্টি খাবার মুখের অন্দরের ব্যাকটেরিয়ার অতি উত্তম খাদ্য। সেই কারণে মধু খেলেই এসব জীবাণু দ্রুত গতিতে নিজেদের সংখ্যা বাড়াতে শুরু করে। যার ফলে বাড়তে পারে সমস্যা। তাই মুখের অন্দরের সমস্যায় ভুক্তভোগীরা রোজ রোজ মধু খাবেন না।

বাচ্চাদের মধু নয়​

কিছু অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের বয়স ১ পার হওয়ার আগেই মধু খাওয়ান। আর এই ভুলটা করেন বলেই ছোটদের শরীরের ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের পিছু নিতে পারে ক্লস্ট্রিডিয়াম ইনফেকশনের মতো জটিল সমস্যা। তাই ভুলেও ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধু খাওয়াবেন না। বরং এই সময় চিকিৎসক ঠিক যেই যেই খাবার সন্তানকে খাওয়াতে বলছেন, তাই তাকে খাইয়ে যান। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo