• প্রশাসন

রংপুরে পুলিশের ওপর হামলা ও আগুনের  ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি

  • প্রশাসন
  • ১৭ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৪০:১৬

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরোঃ কোটা আন্দোলনের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত কিছু লোকজন এসেছিলো,সেই সব তথ্য পুলিশের কাছে আছে বলে দাবি করছেন কমিশনার। পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করা হয়েছে। এসময় ওয়ারলেস সেট পুড়িয়ে ফেলেছে কোটা আন্দোলনকারীরা।এসব ঘটনা নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েল ক্ষতিগ্রস্থ হলসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের  প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।পুলিশ আগে কোন শিক্ষাথীর উপর লাটিচাজ করেনি।

তিনি আরো বলেন,তারা অনেক গুলো গাড়িতে আগুন দিয়েছে,বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে,মালামাল পুড়িয়ে ফেলেছে ,ছাত্রদের বঙ্গবন্ধু আবাসিক হলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভেতরে ঢুকে এই অরাজকতা করেছে। এসব বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।তবে নৈরাজ্যকর কোনো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো বলে  জানান।

পুলিশ কমিশনার বলেন,এসব ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি,অনেক তথ্যই পুলিশেরে কাছে এসেছে।গতমঙ্গলবার রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সহ আশে পাশের এলাকায় যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিলো আমরা ধৈয্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি।

মঙ্গলবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রংপুর নগরীতে মিছিল বের করে পাঁচ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন।এ সময় আবু সাঈদ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘষের ঘটনা ঘটে।পুলিশ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এসময় আবু সাঈদ একাই অবিচল দাঁড়িয়ে মোকাবিলার চেষ্টা করেন।পুলিশের সামনে বুক উঁচিয়ে দেয়।এসময় বুকে গুলি লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo