• অপরাধ ও দুর্নীতি
  • লিড নিউজ

আরসার গুলিতে র‍্যাব সদস্য আহত,আগ্নেয়াস্ত্রসহপাঁচ সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রেফতার

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • লিড নিউজ
  • ১১ জুলাই, ২০২৪ ২১:৫২:০১

ছবিঃ সিএনআই

কক্সবাজার প্রতিনিধি: এবারও কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ০৫জন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোরে ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোছারখোলা নামক স্থানে একটি 

এই অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে র‌্যাব আভিযানিক দল সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার ০৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ০৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু বিভিন্ন অস্ত্রের অ্যামুনিশন উদ্ধার করা হয়। এসময় র‍্যাব এর এক সদস্য আহত হয়।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে,,"উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার একদল সদস্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ক্যাম্পে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর চৌকস একটি দল  আরসা সন্ত্রাসীদের আস্তানার নিকট পৌঁছা মাত্রই র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরসা সন্ত্রাসীরা র‍্যাবকে উদ্দেশ্যে করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে।

এতে র‌্যাবের একজন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। বর্তমানে সে রামু সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছে"। তিনি আরও বলেন, "মূলত এই গ্রুপগুলো উখিয়া ও হ্নীলার পাহাড়ী এলাকায় স্থানীয় কৃষকসহ নিরীহ লোকদের, ডাকাতি,অপহরণপূর্বক মোটা অংকের টাকা আদায়সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে তাঁরা"। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রোহিঙ্গা মৃত আব্দুল মোতালেব এর ছেলে মোঃ নেছার (৩০),আব্দুল জব্বার এর ছেলে আলম (১৮), মো: শাকের আহমেদ এর ছেলে মোঃ আবুল কালাম (২৮), বাশার ছেলে মোঃ আইয়ুব (২২),এবং বাংলাদেশী 

আঃরহমান এর ছেলে আবুল হোসেন (২০)। উল্লেখ-যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিশেষ করে আরসা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক সৃষ্টি, হামলা, খুন, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৫ গত ২০২৩ সালে ৯৪ জন এবং ২০২৪ সালে ২৪ জন আরসা সদস্য মোট ১১৮ জন আরসা সন্ত্রাসীকে ৭১টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি মোছারখোলা, উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকাগুলোতে অপহরণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাছাড়া বিভিন্ন ক্যাম্পে হত্যাকান্ডের সংখ্যাও বাড়তে থাকে ফলে ক্যাম্পসমূহে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo