• সমগ্র বাংলা

কুষ্টিয়ায় লালন মাজারের গেটের সামনে সাধু সমাজের মানববন্ধন

  • সমগ্র বাংলা
  • ০২ জুলাই, ২০২৪ ১৭:০১:০৪

ছবিঃ সিএনআই

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কোন কিছুর চাপে বা মধ্যস্ততায় নিজের স্বামীর কবরের সাথে থাকা ভিটা ছাড়তে চান না লালন অনুসারী চায়না বেগম। তিনি দাবী করেন স্বামী গাজী ফকিরের কবরের পাশেই ঘর করে থাকবেন। চলবেন সাধু- গুরুদের নিয়েই। প্রতিদিন জ্বালাতে চান স্বামীর কবরে সন্ধ্যাবাতি। স্বামীর ওয়াকফ করে দেয়া জমিতে স্থাপিত কবরের পাশে চায়না বেগমের ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২ জুলাই) কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়ায় লালন আখঁড়া বাড়ীর সামনে চায়না বেগম সহ মানববন্ধন করেছে সাধু সমাজ। সেখানে চায়না বলেন, আমি স্বামীর মাজারেই থাকব। ওই জায়গায় আমার ঘর করে দেওয়া লাগবে। আমার যেমন ঘর ছিল, তেমন ঘরই করে দেওয়া লাগবে। আমি অন্য জায়গায় থাকব না। আমি আমার স্বামীর কবরের পাশে ঘর বানিয়ে থাকব, প্রতিদিন সন্ধ্যাবাতি জ্বালাবো।

গত ২৬ জুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামে চায়না বেগমের ঘর ভেঙে তাকে উচ্ছেদ করেন ওই এলাকার কিছু ব্যক্তি। এ বিষয়ে চায়না বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে উভয়পক্ষকে নিয়ে মিটিং শেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে অন্য জায়গা ঘর করে দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি চায়না বেগম। আবার ওই মিটিংয়ে দেওয়া কথাও রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চায়না বেগম। মানববন্ধনে ওই বৃদ্ধা বলেন, অন্যের জমি ও কিছুটা সরকারি জামিতে আমাকে ঘর করে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু কয়দিন পর ওই জায়গা থেকেও আমাকে লাথি দিয়ে বিদায় করে দেবে। আমি আমার স্বামীর মাজারে যেতে পারব না, সাধুসঙ্গ করতে পারব না। আমি সেই জন্যই ওই সিদ্ধান্ত মানতে পারছি না। আমার জায়গায়ই আমি থাকব। পরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজার কাছে বাউল ভক্তদের নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন চায়না বেগম। সেখানেও স্বামীর কবরের পাশেই থাকার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, তার ভিটেমাটিতে বাড়ি করার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক হিসেবে আমার যতটুকু সহায়তা করার ক্ষমতা রয়েছে, আমি ততটুকু সহায়তা প্রদান করব। চায়না বেগমকে হুমকি প্রদানের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo