• খেলাধুলা

রোকুজ্জোকের সঙ্গে প্রেমের গল্প শোনালেন মেসি

  • খেলাধুলা
  • ২০ জুন, ২০২৪ ১৫:৩৪:৫৯

ছবিঃ সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্কঃ অর্থ ও বিত্তবান হলে নাকি বেরিয়ে আসে মানুষের আসল চেহারাটা। খসে পড়ে মুখোশ বেরিয়ে আসে ভেতরের আসল মানুষটা। এক্ষেত্রে মেসি যেন বড্ড ব্যতিক্রম। এখনও সেই আগের মতোই আছেন। বিত্তবান, নাম যশ খ্যাতি রেকর্ড ও অর্জনে ঝুলিটা পূর্ণ হলেও মেসি বদলে যাননি এতটুকুও।। ছোট বেলার বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে আবর্তন করেই এখনও ঘূর্ণায়মান তার পৃথিবী। 

ব্যক্তি জীবনে নিজেরে শৈশবের দিনগুলোতে রোকুজ্জোর সঙ্গে কাটানোর মধুর সময়। ফুটবলের জন্য স্পেনে চলে আসা এবং ফের তারকা খ্যাতি নিয়ে রোকুজ্জোর কাছে ফিরে যাওয়া। ফের দু’জনের একসঙ্গে পথ চলা। এসব গল্পই এবার কোপা আমেরিকা মিশনে নামার আগে মেসি শোনিয়েছেন তার ভক্তদের। খুলে দিয়েছেন ব্যক্তিগত জীবনের দুয়ার। যাকে অনুকরণ হিসেবে মেনে নিয়ে জীবন গড়তে পারলে কমতে পারে বিচ্ছেদ।

রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির পরিচয়টা হয়েছিল তার চাচাত ভাই লুকাসের মাধ্যমে। যার সঙ্গে মেসির বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল নিওয়েলস ওল্ড বয়েজে খেলার সময়। সেই বন্ধুত্বের সূত্র ধরেই রোকুজ্জোদের বাড়িতে যাওয়া আসা হতো মেসির। সেখানেই রোকুজ্জোর প্রতি তার ভালোলাগা শুরু।

যা নিয়ে মেসি বলেন, ‘আমি ওদের বাড়িতে যেতাম, ওর সঙ্গে দেখা হতো, তখন খুবই ছোট ছিলাম। সবসময় আমি ওকে পছন্দ করতাম। এরপর যখন আমার বয়স ১৩ বছর, আমি স্পেনে চলে গেলাম এবং যেভাবেই হোক যোগাযোগাটা নষ্ট হয়ে গেল।স্পেনে যাওয়ার পর রোকুজ্জোর সঙ্গে যোগাযোগটা থেমে গিয়েছিল মেসির। যা নিয়ে মেসি বলেন, ‘এখনকার চেয়ে তখন যোগাযোগ করা ছিল আরও বেশি কঠিন। 

চিঠিপত্র, ইমেইল কিংবা ল্যান্ডলাইন ফোনের মাধ্যমে হতো, যেটা ছিল ব্যয়বহুল। তো আমরা কথা বন্ধ করে দিলাম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, কেবল রোকুজ্জোর সাথে নয়, লুকাসের সাথেও।’এরপর যৌবনে ফের রোকুজ্জোর সঙ্গে দেখা হয় মেসির। যা নিয়ে মেসি বলেন, ‘১৬ বা ১৭ বছর বয়সে ফের সাক্ষাৎ হওয়ার আগ পর্যন্ত, মেসেঞ্জারের কারণে যোগাযোগ সহজতর হলো, আমরা বার্তা আদান-প্রদান করতাম। আবারও কাছাকাছি এলাম।

ছোট বেলায় পরস্পরের প্রতি যে অনুভূতি ছিল, সেটা কখনও হারিয়ে যায়নি, কিছুই বদলায়নি। ১৯-২০ বছরে আমরা ডেটিংও শুরু করে দিলাম।’দীর্ঘ পথচলায় রোকুজ্জোকে ঈর্ষা করার কথাও স্বীকার করেছেন মেসি। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন করি না, কিন্তু হ্যাঁ, আগে করতাম, যখন তরুণ ছিলাম। আমার হাতে সময় ছিল, কিন্তু এখন সেটা একদমই নেই। যখন ছোট ছিলাম, সম্পর্কের শুরুতে যখন আমরা বয়ফ্রেন্ডের মতো ছিলাম, তখন ঈর্ষাপরায়ণ ছিলাম; এখন একটুও না।’

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo